মায়ের গর্ভে সন্তানের জন্ম হয়-এটা স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। কিন্তু দাদির গর্ভে জন্ম নিলো নাতনি! শুনতে অবাক করার মতো হলেও এমন যুক্তরাষ্ট্র ইউটাহ রাজ্যে ঘটেছে এই ঘটনা।
মার্কিন ম্যাগাজিন পিপলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৬ বছর বয়সী ন্যানসি হকের ছেলে জেফ হকের স্ত্রীর একটি রোগের কারণে জরায়ু অপসারণ করতে হয়। এতে তার গর্ভধারণের সম্ভাবনা একেবারেই শেষ হয়ে যায়।
এমন অবস্থায় ছেলের সন্তানের জন্ম দেয়ার জন্য নিজ গর্ভকে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন ন্যানসি। আর এরপরই সারোগ্যাসি পদ্ধতিতে নিজের ছেলের সন্তানকে ধারণ করেন তিনি। সারগেসি শব্দের একেবারে সোজাসাপ্টা অর্থ হল গর্ভাশয় ভাড়া। একজন নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারণের পদ্ধতিকে সারোগেসি বলে। আইভিএফ পদ্ধতিতে স্ত্রী ও পুরুষের ডিম্বাণু ও শুক্রাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে তা নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়।
নাতনিকে নিয়ে এ পর্যন্ত পঞ্চমবারের মতো শিশুর জন্ম দিলেন ন্যানসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যানসির ছেলে জেফ পেশায় একজন ওয়েব ডেভলপার। মায়ের গর্ভে নিজের সন্তান জন্ম দেওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে জেফ বলেন, ‘দারুণ মুহূর্ত ছিল। মায়ের শিশু জন্মানো দেখতে পারে কয়জন!’
পিপল বলছে, ন্যানসি নাতনিকে জন্ম দেওয়ার আগে ৯ ঘণ্টার মতো প্রসব ব্যাথায় ভুগেছেন। এ বয়সে নাতনির জন্ম দেওয়ার পর রোমাঞ্চিত তিনি। তবে ন্যানসির একটু কষ্টও আছে কারণ মা অন্যজন হওয়ায় শিশুটিকে নিজের কাছে রাখতে পারছেন না তিনি।
দাদির ইচ্ছা অনুয়ায়ী, সদ্যোজাত ওই শিশুর নাম রাখা হয়েছে হান্নাহ। জেফ জানান, তার মা হঠাৎ মধ্যরাতে জেগে ওঠার পর একটি কণ্ঠস্বরকে বলে উঠতে শোনেন, ‘আমার নাম হান্নাহ।’
ন্যানসি হক ইউটাহর টেক ইউনিভার্সিটিতে চাকরি করেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর কোনোরকম পরীক্ষা ছাড়াই তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে নাতনির জন্ম দেবেন। ন্যানসির ছেলের স্ত্রী ক্যামবিরা জানান, ন্যানসি ও হান্নাহ দুটোর অর্থই দয়া।
এমন জন্মদানের বিষয়ে চিকিৎসক রাসেল ফাউলক বলেন, ‘দাদির গর্ভে নাতনি থাকাটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এখানে বয়স কোনো বাধা হতে পারেনি।’