ভালোবাসা কোনো বয়স মানে না। মানে না বয়স, লিঙ্গ, বর্ণ, ধর্ম। যুগে যুগে এমন উদাহরণ তৈরি হয়েছে বহু। সেই তালিকায় এবার নাম লেখালেন যুক্তরাষ্ট্রের এক দম্পতি। অসম সম্পর্কের এই বিয়েতে বর-বধূর বয়সের পার্থক্য ‘মাত্র’ ৩৭ বছর! তবে তা বাধা হতে পারেনি ভালোবাসার পথে। সামাজিক মাধ্যমে লাইভ করে হাজার হাজার দর্শককে সাক্ষী রেখে পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবর অনুসারে, বরের নাম কুরান ম্যাকেইন, বয়স ২৪ বছর। আর কনের নাম শেরিল ম্যাকগ্রেগর। ৬১ বছর বয়সী এ নারীর রয়েছে সাতটি সন্তান, নাতি-নাতনির সংখ্যা ১৭। এমনকি তার এক সন্তানের বয়সই কুরানের চেয়ে বেশি। তবে তাতে সমস্যা হয়নি। উভয় পক্ষই সাদরে মেনে নিয়েছেন এই বিয়ে।
জানা যায়, কুরানের বয়স যখন মাত্র ১৫ বছর, তখন শেরিলের সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। শেরিলের এক ছেলের রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন কুরান। তবে তখন ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠা হয়নি তাদের। ঘটনার শুরু মাত্র গত বছর। শেরিলকে একটি দোকানে ক্যাশিয়ারের চেয়ারে দেখেন কুরান, তখন পূর্বপরিচয়ের সূত্রে তাদের মধ্যে ফের আলাপ হয়।
কথাবার্তার একপর্যায়ে কুরান জানতে পারেন, শেরিল নিয়মিত টিকটক ভিডিও বানান। একটি ভিডিওতে নিজের নাচের দৃশ্য আপলোড করেছিলেন তিনি। সেখানে অনেকেই বাজে মন্তব্য করেছেন, এ নিয়ে মন খারাপ তার। তখন শেরিলকে সান্ত্বনা দেন কুরান। পরে একসঙ্গেই টিকটক ভিডিও বানানো শুরু করেন তারা। আর এর মাধ্যমে একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন কুরান-শেরিল, ফুটতে থাকে তাদের প্রেমের ফুল।
গত ৩১ জুলাই আংটি পরানোর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যুগলে পরিণত হন অসম বয়সের এ প্রেমিক-প্রেমিকা। আর তার মধুর সমাপ্তি হয়েছে গত ৩ সেপ্টেম্বর। সেদিন টিকটকের একটি বিশেষ অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভ দেখানো হয়েছে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান।
বয়সে বড় ব্যবধান থাকলেও সংসার জীবন সুখেই কাটছে এ দম্পতির। শারীরিক-মানসিক কোনোদিক থেকেই অতৃপ্তি নেই বলে জানিয়েছেন কুরান ম্যাককেইন।
তবে অনলাইন সমালোচনা থেকে যেন নিস্তার মিলছে না এ দম্পতির। অনেকেই শেরিলকে কুরানের ‘নানি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। এ নিয়ে কিছুটা মন খারাপও হয়ে নববধূর। তিনি বলেছেন, কখনো কখনো এটি তাকে কাঁদিয়ে ছাড়ে। তবে স্বামী কুরান সবসময় তাকে সমর্থন করেন ও পাশে থাকেন। কুরানের কাছেও শেরিলই হচ্ছেন তার ‘স্বপ্নের রানি’।