চীনের বুকে ঘটে গেল এক দুঃসাহসিক অপরাধ। যা যেকোনো ক্রাইম স্টোরিকে হার মানাবে। এক ব্যক্তি তার প্রাক্তন বান্ধবীর কাছ থেকে চুরি করে নিলেন ১, ৫১, ২০২ ইউয়ান, অর্থাৎ প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। তও আবার বান্ধবী যখন ঘুমিয়ে ছিলেন। ভাবছেন তো এই অসম্ভব ব্যাপার সম্ভব হল কি করে ? রিপোর্ট অনুযায়ী, নানিং-এর ২৮ বছর বয়সী হুয়াং জানতেন তাঁর প্রেমিকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা রয়েছে। সেই টাকা হাতানোর ফন্দি আঁটেন তিনি। কিন্তু কী ভাবে সেই টাকা হাতাবেন সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কারণ ফোনে প্রেমিকার ফেসিয়াল রিকগনিশন ফিচার সক্রিয় থাকায় ফোন আনলক করা সম্ভব ছিল না।
সুযোগ খুঁজছিলেন টাকা হাতানোর। অবশেষে পেয়েও গেলেন সুবর্ণ সুযোগ। প্রেমিকা যখন ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন, মোবাইল আনলক করার জন্য প্রথমে তার আঙুলের ছাপ নেন অভিযুক্ত। সেটা দিয়ে প্রেমিকার ফোন খোলেন। কিন্তু ফোন থেকে প্রেমিকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের অ্যাপ খোলার জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন-এর প্রয়োজন ছিল। হাতের ছাপ পেয়ে গেলেও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ফোনের ফেসিয়াল রিকগনিশন ফিচার।
তবে সেটাও ভাঙতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ওই তরুণকে। খুব সন্তর্পণে ঘুমন্ত প্রেমিকার চোখের পাতা তুলে ফোনে স্ক্যান করতেই ব্যাঙ্কের অ্যাপ খুলে যায়। তার পর সেই অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেন। এবং অ্যাকাউন্ট থেকে ১৮ লক্ষ টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেন হুয়াং। রাতে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ার পর প্রেমিকা ডং – এর বাড়ি গিয়ে এই কুকীর্তি করে বসেন হুয়াং।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে জুয়ায় বিশাল পয়সা হেরে যাবার পর নাকি চুরিকেই নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিল হুয়াং। তার প্রেমিকা ডং জানতেনও না একসঙ্গে এতো টাকা খোয়া গেছে তাঁর। পরদিন ব্যাঙ্ক থেকে মেসেজ পেয়ে গোটা বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। ঘটনার কয়েক মাস পর হুয়াংকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
তিনি এখন চুরির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। তাকে ২০হাজার ইউয়ান জরিমানাও দিতে হবে। সবশেষে বলতে হয় ,ফোনের ফেসিয়াল রিকগনিশন যে কতটা বিপজ্জনক তার উদাহরণ মিলল চীনে। তাই ঘুমানোর সময় সাবধান ! ফোনটি কাছছাড়া করবেন না।