পাকিস্তানের করাচিতে অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটেছে। গার্লফ্রেন্ডের জন্য কেনা বার্গারে কামড় বসানোর কারণে এক যুবক তার বন্ধুকে হত্যা করেছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি করাচিতে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে।
খবর অনুসারে, আলী কেরিও নামে দায়রা জজের একজন ছেলে তার বন্ধুর কেনা বার্গারের কিছু অংশ খেয়ে ফেলেন। জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার নাজির আহমেদের ছেলে দানিয়েল বার্গারটি তার গার্লফ্রেন্ডের জন্য কিনেছিলেন।
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, দানিয়েল তার গার্লফ্রেন্ড সাজিয়াকে তার বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ওই সময় তার বন্ধু আলি কেরিও এবং তার ভাই আহমেরও উপস্থিত ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত দানিয়েল গার্লফ্রেন্ড এবং নিজের জন্য দুইটি বার্গার অর্ডার করেন। কিন্তু বন্ধু কেরিও একটা বার্গারের কিছু অংশ খেয়ে ফেলে। এতেই বাধে বিপত্তি। দানিয়েল এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
দু’জনের বাকবিতণ্ডা খুব শিগগিরই বড় সংঘাতে রূপ নেয়। অভিযুক্ত দানিয়েল বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীর রাইফেল নিয়ে কেরিওর দিকে তাক করে গুলি করেন। এতে গুরুতর আহত হন কেরিও। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পর তদন্তকর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এতে পুলিশ কর্মকর্তার ছেলেকে হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত দানিয়েল নাজিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।