গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত বমি করার কারণে যুক্তরাজ্যের এক মায়ের সব দাঁত তুলে ফেলতে হয়েছে। ওই নারীর নাম লুইস কুপার।
খবরে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে প্রথমবার অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন কুপার। তখন তিনি ফ্রান্সে একটি স্কি রিসোর্টে ন্যানির কাজ করতেন। তখন গর্ভাবস্থার এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে তাকে যুক্তরাজ্যে ফিরে যেতে হয়েছিল। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার হাইপারেমেসিস গ্র্যাভিডারাম (এইচজি) শনাক্ত হয়। এটি গর্ভাবস্থার মর্নিং সিকনেসের বিরল ও চরমতম রূপ। প্রায় মাত্র ১ শতাংশ অন্তঃসত্ত্বার ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায়।
তখন ঘন ঘন বমি হতো লুইস কুপারের। এ কারণে তার দাঁত পড়ে যেতে শুরু করে। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। অতিরিক্ত বমিতে অ্যাসিডিটির কারণে তার সব দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ কারণে সন্তান জন্মের ছয় মাস পর তার সব দাঁত তুলে ফেলতে হয়।
সন্তান জন্মের পরপরই ২৬ বছর বয়সী লুইস কুপারের বমি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিনি আরও দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এই দুবারই তিনি প্রথমবারের মতো হাইপারেমেসিস গ্র্যাভিডারামে ভুগেছিলেন।
দাঁত না থাকার বিষয়টি কুপার মেনে নিতে চেষ্টা করছেন। দ্য ইনডিপেনডেন্টকে তিনি বলেছেন, ‘এখন ঠিক আছি, সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেছে। জীবন অনেক বেশি আরামদায়ক ও উপভোগ্য। কিন্তু এইচজি থাকলে এবং নয় মাস বিছানায় থাকলে তা আর উপভোগ্য হয়ে ওঠে না। দাঁত না থাকাটা মেনে নিয়েছি। আমি কেবল পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলার চেষ্টা করছি।’
লুইস কুপারের নকল দাঁত আছে। এখন খাবারও বুঝে খান তিনি। বেশি মাংস খান না। শাকসবজি খান বেশি।