নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে ঘটেছে এক অবাক করা ঘটনা। অকল্যান্ডের এসইএ লাইফ কেলি টারল্টনের অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা হয়েছিল দুটি রায় ফিশকে। মাছ দুটির সঙ্গে রাখা হয়নি কোনো পুরুষ মাছ। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাছ দু’টি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, অকল্যান্ডের এসইএ লাইফ কেলি টারল্টনের অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা হয়েছিল মাছ দুটিকে। তাদের সঙ্গে রাখা হয়নি কোনো পুরুষ মাছ। গত দু’বছর ধরে তারা পুরুষ সঙ্গ ছাড়াই অ্যাকোয়ারিয়ামে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। এই দুটি মাছ ঈগল রে প্রজাতির।
অ্যাকুরিয়ামের কিউরেটর অ্যান্ড্রু ক্রিস্টি জানিয়েছেন, মনে হচ্ছে, এই মাছগুলো পুরুষ মাছের সঙ্গে মিলনের পর নিজদের মধ্যে স্পার্ম জমিয়ে রেখেছিল। শুক্রাণু জমিয়ে রাখা মাছ প্রজাতির পাশাপাশি পোকামাকড়, বাদুড় এবং কচ্ছপের সাধারণ কৌশল। ধারণা করা হয়, শুক্রাণু এক থেকে দুই বছর সঞ্চয় করে রাখা যায়। এরপর ডিম্বস্ফোটন শুরু হলে এগুলো কার্যকর হয়।
নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড এটমোসফিয়ারিক রিসার্চের (এনআইডব্লিউএ) ফিশারি মডেলার অ্যাডেল ডুটিলয় জানিয়েছেন, এই ঘটনা এমন প্রজাতির মধ্যে দেখা যায় যেগুলো প্রায়শই একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়নি।
এই মাসের শুরুর দিকে ডুটিলয় গভীর সমুদ্রের হাঙ্গর প্রজাতিগুলোর শুক্রাণু সংরক্ষণের প্রথম প্রমাণ দেখান। অ্যাডেল ডুটিলয় বলেন, এগুলো সম্পর্কে বুঝতে সক্ষম হওয়ায় তাদের সহনশীলতা সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু এই রে ফিশের ক্ষেত্রে বিষয়টি অন্যরকম বলছেন তিনি। ডুটিলয় মনে করেন, এই মাছগুলো পুরুষ মাছের সঙ্গে মিলন ছাড়াই বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। এটিকে তিনি অলৌকিক প্রজননের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বলেও অবহিত করেছেন। তার মতে, মাছগুলোর ডিম নিষিক্ত না হয়েও ভ্রূণে পরিণত হয়।
এর আগে ২০১৮ সালেও এমনই এক ঘটনা ঘটে। সিডনির সি লাইফ সিডনি অ্যাকুয়ারিয়ামেও ১১ বছয় বয়স্ক এক মাছ এমনভাবে বাচ্চা জন্ম দেয়। ওই মাছটি ১০ বছর ধরে কোনো পুরুষ মাছের সঙ্গে মিলন করেনি।