নানা আলোচনা-সমালোচনার পরেও গতকাল বুধবার আরো একটি হাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরীকে ফোন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নব গঠিত ৩৩টি সংগঠনের সম্মিলিত প্রয়াস বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট।
বৃহস্পতিবার (২রা ডিসেম্বর) জোটের আহবায়ক কমিটির বৈঠক থেকে প্রধান বন সংরক্ষককে ফোন করা হয়। এ সময় কোন ব্যর্থতার কারণে বার বার হাতির হত্যাকাণ্ড ঘটছে এবং এ ব্যাপারে বন বিভাগের তৎপরতায় ঘাটতি রয়েছে কি-না জানতে চান জােটের আহবায়ক পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আহমাদ কামরুজ্জামান মজুমদার। একই সংগে হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনায় কার ঘাটতি অথবা দায় রয়েছে সে বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছায়া তদন্ত করবে বলে জানান তিনি।
পরে হাতি হত্যা বন্ধে বন বিভাগের তৎপরতা তুলে ধরে প্রধান বন সংরক্ষক দাবি করেন, তাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু লোকবল সংকটের কারণে মনিটরিং ব্যবস্থা ফলপ্রসু হচ্ছে না।
প্রধান বন সংরক্ষক অভিযোগ করেন, অধিকাংশ হাতির মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুতায়িত হয়ে। বনের ভেতরে যত্রতত্র অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া রয়েছে যা নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের পক্ষে সম্ভব নয়। এ বিষয়ে অসহযোগিতার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে আটটি হাতির মৃত্যুর ঘটনায় অন্য কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে কি-না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান আমির হােসেন চৌধুরী।
বন ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণে বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোটসহ সকল পরিবেশ প্রেমীদের সহায়তাও কামনা করেন তিনি।
এর আগে জোটের আহবায়ক কমিটির বৈঠকে বর্তমান বন ব্যবস্থাপনার প্রতি একটি অনাস্থাপত্র পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এবং একই মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির নিকট জমা দেয়া, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন এবং হাতি হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি ছায়া তদন্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।