শব্দদূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীতে ১ মিনিট শব্দহীন কর্মসূচি পালন করার কথা থাকলেও, এসময় বন্ধ করা যায়নি যানবাহনের হর্ন। বরং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাড়ির হর্ন ও শব্দদূষণ ছিল আগের পরিবেশ।
‘শব্দদূষণ বন্ধ করি, নীরব মিনিট পালন করি’ স্লোগানে রোববার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট ঢাকা শহর শব্দহীন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সচিবালয় এলাকাসহ ঢাকা শহরের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে লিফলেট বিতরণ ও হ্যান্ড মাইকে প্রচারণা করা হয়। বিভিন্ন স্থানে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েও থাকতে দেখা যায় আয়োজকদের। কিন্তু ১০টার পর শব্দহীন কর্মসূচি শুরু হতেই বেজে উঠে গাড়ির হর্ন। এসময় ট্রাফিক পুলিশ কর্তাদের সিগন্যালে রেখে একটি একটি করে গাড়ি ছাড়তে বলতে শোনা যায়। কিন্তু সিগন্যালে থেকেও মন্ত্রীর সামনেই সচিবালয় গেটে বাজতে থাকে গাড়ির হর্ন।
সচিবালয়ের পাশে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে সকালে ১০টার আগে কর্মসূচি পালনে অবস্থান নেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো. মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময় পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে কাজ করছে। এজন্য বিভিন্ন ধরনের বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সরকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গাড়িচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এ কাজে সফল হতে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের সহায়তা নেওয়া হবে। সবাইকে সাথে নিয়েই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সফল হবে সরকার।
কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা শহরের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের স্কাউট সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (ওয়ার্ড কাউন্সিলর), বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী; ট্রাফিক পুলিশের সদস্য ও ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যদের উপস্থিতিতে ব্যানার-ফেস্টুনসহ মানববন্ধন, গাড়ি চালকদের মধ্যে লিফলেট ও টিকার বিতরণ করেন।
কমলাপুর বৌদ্ধ মন্দির সড়কের অবস্থানে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
এ ছাড়াও, গুলশান-১ অবস্থানে নেতৃত্ব দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, বিজয় সরণি মোড়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, যাত্রাবাড়ীতে বিএফআইডিসির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, গাবতলীতে বিসিসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়নাল আবেদীন; শাহবাগ মোড়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক; মগবাজারে অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম; মহাখালীতে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী; মিরপুর ১০ নং গোলচত্বরে উপপ্রধান বন সংরক্ষক এবং সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়; উত্তরায় বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল সরকার প্রমুখ।