কোরবানির পশু জবাইয়ের পর সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণ কাজ শুরু করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সেবকরা। বুধবার (২১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণে নামেন তারা।
চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী জানান, মেয়রের নির্দেশে কোরবানির পশুর বর্জ্য ৮ থেকে ১০ ঘন্টার মধ্যে অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। তবে অনেকে দেরিতে কোরবানি দিচ্ছেন। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল, ওয়াকিটকি, গাড়ি, কন্টেইনার মোভার ও টমটম গাড়িসহ সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার নগরে প্রায় ৮ লাখ ৯ হাজার পশু জবাই করা হবে। তবে কোন মহল্লায় কত পশু জবাই করা হচ্ছে, তার সঠিক তথ্য নেই।
জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও বর্জ্য অপসারণ কাজের জন্য নগরকে চারটি জোনে ভাগ করে চারজন কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর জোনের ১০টি ওয়ার্ডে কার্যক্রম তদারকি করছেন কাউন্সিলর এসরারুল হক। দক্ষিণের ১১টি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছেন কাউন্সিলর আবদুল বারেক। পূর্ব জোনের ১১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন এবং পশ্চিম জোনের ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর মো. ইসমাইল দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া পুরো নগরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ তত্ত্বাবধান করছেন কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী।
চট্টগ্রাম সিটি করপেরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ডোর টু ডোর পরিচ্ছন্ন কর্মীরা দ্রুততার সাথে জবাইকৃত পশুর ময়লা-আবর্জনা খড়কুটোসহ সংগ্রহ করে রক্ত ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিবে, যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধমুক্ত থাকে।
দ্রুত বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে চসিক দামপাড়া অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। যার নম্বর: ৬৩০৭৩৯ ও ৬৩৩৬৪৯। নগরের কোথাও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখলে কন্ট্রোল রুমে জানালে দ্রুত তা অপসারণ করা হবে।
এদিকে যত্রতত্র পশু জবাই ও ময়লা ফেলা রোধ করতে মাঠে আছে জেলা প্রসাশন ও চসিকের ম্যাজিস্ট্রেটরা। চসিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোরবানির পশুর চামড়া ফেলে দেওয়া যাবে না। কোনও মৌসুমি ব্যবসায়ী যদি গত দুইবারের ন্যায় চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করে যত্রতত্র ফেলে দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।