চিড়িয়াখানা ও খাঁচায় আটক প্রাণীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে নিজেকেই খাঁচায় বন্দি করে ‘মুক্তি চাই’ ব্যানারে অভিনব তিন দিনব্যাপী প্রতীকী আন্দোলন শুরু করেছেন পরিবেশকর্মী, সাংবাদিক হোসেন সোহেল।
আজ শনিবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই আন্দোলন শুরু করেন তিনি।
মূলত খাঁচায় আটক প্রাণীরা কেমন কষ্ট ভোগ করে সেটার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিতে এবং ‘বন্যেরা বনে সুন্দর’ এই বার্তাটি ছড়িয়ে দিতে খাঁচার ভেতর আটক থেকে এই প্রতীকী আন্দোলন করছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলতে গেলে আমি খাঁচায় বন্দি হয়েছি নিজেকে কষ্ট দেওয়ার জন্য এবং খাঁচায় প্রাণীরা কেমন কষ্ট ভোগ করে সেটার ন্যূনতম একটা অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য। আমি তিন দিন খাঁচার মধ্যে থেকে এই অভিজ্ঞতা নেব। ’
তিনি আরো বলেন, ‘দীর্ঘদিনের একটি পদ্ধতি আমি একা পরিবর্তন করতে পারব না। তাই লড়াইটা আমার নিজের সাথে নিজের। এখানে সরকার, রাজনীতি, সংগঠন, সংস্থা, ব্যক্তি কেউ জড়িত না। আমিও যন্ত্রণা নিতে চাই যেভাবে খাঁচায় বন্দি প্রাণীরা যন্ত্রণা পায়। আপনারা সকলে গালি-অপবাদ দিন, আমি হেরে যাব না। যারা প্রকৃতি ভালোবাসেন, আমাকে ভালোবাসেন তারা মাথায় হাত রাখবেন। যেন তিন দিন টিকে থাকতে পারি। মুক্ত হোক সকল খাঁচাবন্দি প্রাণী। ’
বাংলাদেশে চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাকে ‘নিষ্ঠুর ও অমানবিক’ উল্লেখ করে এই ব্যবস্থার বিলুপ্তি দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘খাঁচার মধ্যে প্রাণ বা প্রকৃতিকে আটকে রাখা যাবে না। বনের পশুপাখিকে বনে ছেড়ে দিতে হবে। তাদেরকে মুক্ত হতে দিতে হবে। সিই সাথে চিড়িয়াখানার যে ধারণাটি আছে সেটার চরম বিরোধিতা করছি আমি। বাংলাদেশে চিড়িয়াখানার ধারণাটি বাতিল ঘোষণা করতে হবে। কেননা খাঁচার মধ্যে আটক করে প্রাণীদের নিষ্ঠুর নির্যাতন ছাড়া আর কিছুই করা হয় না। ’
এ সময় তার সাথে ‘বন্য প্রাণীকে খাঁচায় নয়, বনে যেতে দাও’, ‘চিড়িয়াখানা বন্ধ কর, বন্য প্রাণী মুক্ত কর’, ‘বনাঞ্চল বাঁচাও, বন্য প্রাণী বাঁচাও’ এসব স্লোগান দেখা যায়।