প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর এই দেশে ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন সজ্জায় সাজে প্রকৃতি। বর্তমানে গ্রীষ্মের এই ঋতুতে ফল-ফুলের ব্যাপক সমারোহ। সেই সঙ্গে গ্রীষ্মের এই ঋতুতে প্রকৃতির নজরকাড়া আরেক সৌন্দর্য জারুল ফুল। প্রকৃতির এমনই এক সৌন্দর্য ধারণ করে আক্কেলপুর পৌর শহরের মুজিবর রহমান সরকারি কলেজের সামনে রয়েছে জারুল গাছ।
জারুল গাছ এখন বেগুনি রংয়ের ফুলে প্রকৃতিকে এক অপার সৌন্দর্যে ফুটিয়ে তুলেছে। এই ফুল সবারই নজর কাড়ছে প্রতিনিয়ত। জারুল ফুলের সৌন্দর্যের কথা কবি জীবনান্দ দাশ, কবি আহসান হাবীব সহ অনেক কবির কবিতায় ফুটে ওঠেছে। ফুলটির ইংরেজি নাম: Giant Crape-myrtle, বৈজ্ঞানিক নাম: Lagerstroemia Speciosa ।
গাছটির আদি নিবাস শ্রীলঙ্কায়। ভারতীয় উপমহাদেশের নিজস্ব বৃক্ষ জারুল। তবে বাংলাদেশ সহ চীন ,মালয়েশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে এই বৃক্ষের দেখা মিলে। গ্রীষ্মের শুরুতে থেকে এই ফুল শরৎ পর্যন্ত দেখা যায়। ফুল শেষে গাছে বীজ হয় ও বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে। এই গাছ সাধারণত ১০ থেকে ১৫ মিটার উঁচু হয়। গাছটির নানা ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে। যেমন-(ডায়াবেটিস, জ্বর, অনিদ্রা, কাশি, অজীর্ণতায়) অনেক উপকারী। তবে নানা কারণে প্রকৃতি থেকে বিলীন হওয়ার পথে এই গাছ।
প্রকৃতির এমনই এক সৌন্দর্য ধারণ করে আক্কেলপুর পৌর এলাকার মুজিবর রহমান সরকারি কলেজের সামনে রয়েছে জারুল গাছ। যার বেগুনি ফুলের সৌন্দর্য প্রতিটি পথচারীর নজর কাড়ে। তবে গাছটি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার এমনটিও জানিয়েছেন অনেকেই।
পৌর শহরের বাসিন্দা শাদমান হাফিজ শুভ বলেন, ‘প্রতি বছর গ্রিষ্মের এই সময় মুজিবর রহমান সরকারি কলেজের সামনে এক মাত্র জারুল গাছটি বেগুনি রংয়ের ফুলে ছেয়ে যায়। এতে মনোমুগ্ধকর এক আবেশ তৈরী হয়। প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য দেখতে খুবই ভাল লাগে’।
আক্কেলপুর হাট ও বাজার ইজারাদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘জারুল গাছটির কারণে পৌর শহরের নান্দনিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছ। নয়নাভিরাম এই গাছের কারণে আমাদের হাটেরও সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেয়েছে’।