দুই পা, সামনের দিকের ছোট দুই হাত যেন অবিকল ধারালো ছুরি। এশিয়ার বিভিন্ন উপকূলে এমনই ডাইনোসর ঘুরে বেড়াতো ১৫৪ মিলিনয়ন বছর আগে। সম্প্রতি লাইভ সায়েন্সের সমীক্ষার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমন ডাইনোসরের জীবাশ্মের খোঁজ পেয়েছেন জাপানের হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। প্রথম এই জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে এশিয়ার উপকূলে, দাবি মার্কিন ও জাপানের গবেষকদের।
গবেষণায় জানানো হয়, জীবাশ্মটি একটি নতুন ডাইনোসরের প্রজাতি, যাকে গবেষকরা প্যারালিথারাইজিনোসরাস জেপোনিসাস নাম বলেছেন।
সমীক্ষা অনুসারে, ডাইনোসরটি থেরিজিনোসর নামে পরিচিত একটি গোষ্ঠীর অন্তর্গত ছিল, দ্বিপদ ও প্রাথমিকভাবে তিন আঙুল বিশিষ্ট তৃণভোজী ডাইনোসর। এদের নখ ধারালো ছুরির মতো। এই দিয়েই এরা গাছপালা কাটা ও পশু শিকার করতো।
লাইভ সায়েন্সের গবেষক রয় এম হাফিংটন বলেছেন, ‘এই ধারালো নখকে প্যারালিথারাইজিনোসরাস জেপোনিসাস খাদ্য অনুসন্ধানের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতো, আগ্রাসনের মাধ্যম হিসেবে নয়। তাছাড়া ঝোপঝাড় ও গাছকে খাবারের জন্য তার মুখে তুলে নিতো। মূলত ২০০৮ সালে জাপানের হোক্কাইডোতে এই জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছিল। গবেষকদের আরেকটি দল খুঁজে পেয়েছিল সেটি। আবিষ্কারের সময়, জীবাশ্মটি একটি কংক্রিটে মোড়ানো ছিল, শক্ত হয়ে যাওয়া খনিজের মতো। আগে বিশ্বাস করা হয়েছিল যে এটি টেরিজিনোসরাসের অন্তর্গত।
কিন্তু তার প্রমাণ না মেলায় ফের গবেষণা শুরু হয়। বিজ্ঞানীরা আবার জীবাশ্মটি দেখার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে, নতুন গবেষণার লেখকরা উপসংহারে পৌঁছেছেন যে জীবাশ্মটি একটি টেরিজিনোসরাসের অন্তর্গত। শুধুমাত্র নমুনার ওপর ভিত্তি করে, টেরিজিনোসর কত বড় ছিল তা নিশ্চিতভাবে জানা অসম্ভব। গবেষকরা জানিয়েছেন যে, ডাইনোসরটি বড় ছিল, প্রায় ৩০ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারতো ও ৩ টন পর্যন্ত ওজন হকো সেগুলো।