English

21 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

ধুনটে অবাধে বিক্রি হচ্ছে খাঁচায় বন্দী দেশী প্রজাতীর পাখী

- Advertisements -

কারিমুল হাসান, ধুনট (বগুড়া): পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নানা প্রজাতীর প্রাকৃতিক গাছ জন্মানোর পিছনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখে পাখীকুল। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা শুধু দেশীয় চিরচেনা পাখিই নয়, বিদেশী পাখী বিক্রির পাশাপাশি দেশী পাখী খাঁচায় বন্দী করে অবাধে বিক্রি করছে প্রতিনিয়ত।

ঘুঘু, শালিক, দোয়েল, বুলবুলি এমনকি ডাহুক, টনাটুনি পাখিও বিক্রি করতে দেখা যায় ওসব ব্যবসায়ীদের দোকানে। এতে শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্টই নয় বরং ‘বউ কথা কও’ পাখীদের কন্ঠে এমন সব সুর থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃতি প্রেমীরা। এভাবে অবাধে দেশীয় পাখী বিক্রি হতে থাকলে প্রকৃতিতে গাছ জন্মানোটা দুরহ হবে।

বগুড়ার ধুনট উপজেলা জুড়ে এসকল পাখী বিক্রির অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভুমিকা খুব একটা চোখে পড়েনা। শুধু পাখী ব্যবসায়ীই নয়, পাখী শিকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে অনেক। গ্রামীন জনপদে পাখীদের কলতান তেমন একটা দেখা যায়না। শোনা যায়না কুহুকুহু ডাহুকের ডাক। সন্ধ্যা আর ভোরের আলো ফোটার আগে পাখীদের মুখরিত করা কিচিমিচি শব্দ হারিয়ে গেছে অনেক আগেই।

ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার প্রকৃতি থেকে আগের দিনে দেশীয় পাখী। গ্রামগঞ্জের ঝাউ-জঙ্গল, বাঁশ-ঝাড়ে বাস করলেও এসব স্থানে জনবসতি গড়ে তোলায়, পাখীর বাসা তৈরীর জায়গার বড়ই সংকট। ফলে হারিয়ে ফেলছে তাদের চিরাচরিত বাসস্থান। আর চোখে পড়ে না নানা রকমের পাখীর বাসা। ফসলের মাঠে পাখীর বসার দৃশ্য সচরাচর দেখা গেলেও এখন তা হারিয়ে যাচ্ছে। অতীতে গ্রাম এলাকায় ব্যাপক হারে বক, হলদে পাখী, মাছরাঙ্গা, বুলবুলি, কৌকিল, ফিঙে, শালিক, ঘুঘু, দোয়েল, বাবুই, টুনটুনি, পানকৌড়ি, ডাহুক, বালীহাঁস, কাকসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের দেখা যেত। বিশেষ করে জাতীয় পাখী দোয়েলসহ ঘুঘু, হরিয়াল, শালিক, টুনটুনি, কাঠ ঠোকরা, কোকিল, ডাহুক,বাবুই, মাছরাঙা,ও প্যাচা সহ অনেক পাখিই এখন বিলুপ্ত প্রায়। বাড়ির আঙ্গিনায় পেঁপে গাছে বুলবুলি পাখী আর বসেনা।

পাখী বিলুপ্তির পিছনে ক্ষেতে কীটনাশকের ব্যবহার অনেকাংশেই দায়ী। কৃষকরা এখন বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতে সব সময় কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকে। এতে করে পাখির খাদ্য ফড়িং, প্রজাপতি, মশা সহ বিভিন্ন প্রকার কীটপতঙ্গ মরে যায়। পাখিরাও দিনের পর দিন বিষক্রিয়া হচ্ছে ফসল থেকে। দল বেধে পাখীরাও আর বিচরণ করে না। তাছাড়া পাখি শিকারীদের নিষ্ঠুরতা তো আছেই।

পাখী কর্তৃক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা যেমন জরুরী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে জনসচেতনতা করাটাও অনেকটা জরুরী বলে মনে করেন প্রকৃতি প্রেমীরা। পাখীকুল রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে পোষ্টার লিফলেট বিতরন করাটাও গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করেন অনেকে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন