ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে এবার টেটা দিয়ে মারা হলো পাঁচ ফুট লম্বা বিষধর রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়াসাপ। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের আব্দুল হাই খানের হাট সংলগ্ন একটি ধান ক্ষেতে সাপটি দেখা যায়। দেখার পর আতঙ্কিত লোকজন লোহার তৈরি দেশি অস্ত্র টেটা দিয়ে খুঁচিয়ে সাপটি মেরে ফেলে।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, চর হরিরামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চর শালিপুর পশ্চিম গ্রামে ধানক্ষেতে যান মোশারফ নামে এক কৃষক।
সেখানে গিয়ে তিনি সাপের ফোঁসফোঁসানি শুনে চিৎকার দেন। এ সময় অন্য কৃষকেরা ছুটে এসে সাপটি দেখতে পান। পরে তারা টেঁটা দিয়ে খুঁচিয়ে সাপটি মেরে আগুনে পুড়িয়ে ফেলে।
ছবি দেখে সাপের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক ইব্রাহিম আল-হায়দার। তিনি বলেন, এটি বিষধর রাসেল ভাইপার। এই সাপটিকে ‘আইইউসিএন বাংলাদেশ’ ২০০২ সালের নিরীক্ষায় বাংলাদেশে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২০১২ সালে ফের রাজশাহীর চরাঞ্চলে দেখা যায়। সম্প্রতি এই প্রজাতির সাপ পদ্মা ও মেঘনা নদী তীরবর্তী জেলাসমূহে দেখা মিলছে।
চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটার প্রতিষেধক থাকায় সাপের দংশনে মৃত্যুর হার কমছে। তবে চরভদ্রাসন উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. সালাহ্ উদ্দীন বিষয়টি তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি একই ইউনিয়নের আমিনখার ডাঙ্গী এলাকায় একটি চন্দ্রবোড়া সাপ এলাকার বাসিন্দারা পিটিয়ে মেরে মাটিতে পুঁতে রাখে। ওই সাপটি প্রায় সাড়ে চার ফুট লম্বা ছিল।