কোনো মানুষের নয় বরং দিনাজপুর শহরের একটি মন্দির প্রাঙ্গণে জাঁকজমকপূর্ণ বট আর পাকুড় গাছের বিয়ে হবে আগামীকাল বুধবার। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য সাজসজ্জা ও আল্পনা এঁকে প্রস্তুত করা হয়েছে ছাদনাতলা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গায়ে হলুদের আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। আগামীকাল বুধবার বিয়ে পড়ানোর জন্য ঠিক করা হয়েছে ৪ জন পুরোহিত।
দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টি শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে বট ও পাকুড় গাছের এ বিয়ের আয়োজন করেছেন এলাকাবাসী ও ভক্তবৃন্দ। অমঙ্গল থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এই বিশ্বাস থেকে এ বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
এরই মধ্যে রঙ-বেরঙের কাপড় দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সুসজ্জিত দুটি গেট। অতিথিদের দেওয়া হয়েছে নিমন্ত্রণপত্র। অতিথি আপ্যায়নে থাকছে নিরামিষ খাবার।
অনুষ্ঠানসূচি অনুযায়ী জানা যায়, বুধবার সকাল ৬টায় অধিবাস, সকাল ১০টায় নারায়ণ পূজা, দুপুর দেড়টায় মধ্যাহ্ন প্রসাদ বিতরণ। এরপর দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিয়ে ও যজ্ঞানুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পরিবেশিত হবে কবি গান। কবিগান পরিবেশন করবেন চিরিরবন্দর উপজেলার বাবুল সরকার ও খানসামার চন্দনা রানী সরকার।
অতিথিদের দেওয়া নিমন্ত্রণপত্রে বলা হয়েছে, বর বেশে পাকুড়গাছ, পিতা দিলীপ ঘোষ, মাতা দিপ্তী ঘোষ, ঠিকানা চকবাজার, সদর, দিনাজপুর। আর কনে সেজে কুমারী বটগাছ, পিতা মুন্না সাহা, মাতা পুর্ণিমা সাহা, ঠিকানা চকবাজার, সদর, দিনাজপুর।
আয়োজক দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রকৃতির মঙ্গলের জন্য বট ও পাকুড়গাছের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী যেভাবে মানুষের বিয়ে হয়,সেভাবে বট-পাকুড়ের বিয়ে হবে। এরইমধ্যে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র বিলি করা হয়েছে।
গাছের বিয়ের ব্যাপারে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দিনাজপুর নাট্য সমিতির সভাপতি চিত্ত ঘোষ জানান, প্রকৃতি ও ব্যক্তির মঙ্গল কামনায় বট-পাকুড়ের বিয়ে দেওয়া হয়। শহরের বাসুনিয়াপট্টি দুর্গামন্দিরে চকবাজার এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীর মানুষ প্রকৃতির মঙ্গল কামনায় এমন বিয়ের আয়োজন করেছেন। বিয়ে ঘিরে ব্যাপক আনন্দ-উৎসব হচ্ছে।