English

23 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
- Advertisement -

জয়ার ঘর আলো করে এলো দুই কন্যা

- Advertisements -

জো বাইডেনের দুইটি বোন এসেছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার বিখ্যাত সাদা বাঘ শুভ্রার কন্যা জয়ার ঘর আলো করে এসেছে দুইটি কন্যা শাবক। এক সময় বাঘশূন্য হয়ে পড়া চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২টিতে। জয়া পুত্র জো বাইডেনকে কাছে না রাখলেও কন্যা দুইটিকে বড় আদরে বড় করছে।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা এক সময় বাঘশূন্য হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘদিন পর ২০১৬ সালে আফ্রিকা থেকে রাজ ও পরী নামের দুটি বাঘ আনা হয়। ২০১৮ সালে তারা বাচ্চা জন্ম দেয়া শুরু করে। এভাবে দুটি থেকে বর্তমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা পৌঁছায় এক ডজনে। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নেয় দেশের একমাত্র সাদা বাঘ শুভ্রা।

Advertisements

শুভ্রা বড় হয়। সন্তান জন্মদান শুরু করে। শুভ্রার ঘরে জন্ম নিয়েছিল জয়া। ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর বাঘিনী জয়া জো বাইডেন নামে একটি ছেলে শাবকের জন্ম দেয়। ওটি ছিল তার প্রথম সন্তান। কিন্তু জন্মের পর জো বাইডেনের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ শুরু করে সে। পরে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে শাবকটি বড় হয়।


সর্বশেষ গত ২৬ আগস্ট সাদা বাঘ শুভ্রার ঘরে আসে একটি ডোরা কাটা শাবক। তবে জন্মের পর থেকে এই শাবকটির সাথেও বিমাতাসুলভ আচরণ করে শুভ্রা। মায়ের বিমাতাসুলভ আচরণের কারণে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নিজেদের তত্ত্বাবধানে এই শাবকটি বড় করছে।

এরমধ্যে বাঘিনী জয়া গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুইটি মেয়ে শাবক জন্ম দেয়। জয়া শাবক দুইটির সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করছে। নিয়মিত দুধ খাওয়াচ্ছে তাদের।

প্রায় এক মাস বয়স হতে চলা শাবক দুইটি ভাল আছে বলে জানালেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ। তিনি বলেন, শাবক দুইটি ভাল আছে। বাঘিনী এবং শাবক পরস্পরের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করছে।

Advertisements

এগুলো এখন বিপদমুক্ত। ডা. শুভ জানান, আফ্রিকা থেকে দুটি বাঘ আনার পর মোট ১৩টি শাবক চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নিয়েছে। এরমধ্যে জন্মের পর তিনটি শাবক মারা যায়। বাকি ১০টির মধ্যে দুটি চিড়িয়াখানাকর্মীদের তত্ত্বাবধানে পালন করা হয়। অন্য বাঘগুলো স্বাভাবিকভাবে বড় হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ফয়’স লেক এলাকার ৬ একর জায়গা নিয়ে ১৯৮৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে চিড়িয়াখানার জমির পরিমাণ ১০ দশমিক ২ একর। ১২টি বাঘ, ২টি সিংহ ছাড়াও বর্তমানে চিড়িয়াখানায় রয়েছে ভাল্লুক, হায়েনা, জেব্রা, ময়ূর, কুমির, গয়াল, বানর, উল্লুক, ভালুক, চিত্রা ও সাম্বার হরিণ, চিল, শকুন, শজারু, উটপাখি, ইমু, শেয়াল, মেছোবাঘ, অজগর, গন্ধগোকুল, পায়রা, টার্কি, তিতিরসহ ৬৬ প্রজাতির ৬২২টি পশুপাখি।

লকডাউনের পর প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। টিকেটের মূল্য ৫০ টাকা। সবকিছু মিলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক ভাল, গোছানো এবং পরিচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে বলেও দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন