ঘন কুয়াশা ও উত্তরের বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। হেমন্তের শুরুতেই পঞ্চগড়ে শীতের দেখা মিললেও গত বৃহস্পতিবার থেকে জেঁকে বসে শীত। গত তিন দিন ধরে দিনের বেলায় অল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও তাতে কাঙ্খিত উত্তাপ ছিলো না। রাত দিনের বেশির ভাগ সময় ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ।
সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে উত্তরের বাতাস অনুভূত হয় হাড় কাঁপা শীত। রাতে বৃষ্টির মতো পড়ে কুয়াশা। রাত থেকে ভোরে তাপমাত্রাও অনেক নিচে নেমে আসে। এর আগে তাপমাত্রা এক অঙ্কে নামলেও এতটা শীত অনুভূত হয়নি।
রবিবার পঞ্চগড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ২২ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু তা এ জেলার বিরাট অঙ্কের দরিদ্র শীতার্তদের তুলনায় খুবই কম। এ ছাড়া হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভর্তি না হলেও তারা করোনা পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন