কর্ণফুলী নদী দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে নতুন করে বরফকলসহ বিভিন্ন স্থাপনা করার প্রতিবাদে ১৬ আগস্ট রবিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করেছে পাঁচটি পরিবেশ সংগঠন। বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম আয়োজিত উক্ত মানববন্ধন সমাবেশে বক্তরা বলেন, কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে। আদালতের নির্দেশে ২২৮৫ টি স্থাপনার অবৈধ দখলদারের নাম ঠিকানা প্রকাশ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও নতুন করে কর্ণফুলী দখল করছে চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ। এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামে লিখিত অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম। বক্তারা আরো বলেন কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর নিচে ও চাক্তাই রাজাখালী এলাকায় দুই তৃতীয়াংশ নদী অবৈধভাবে দখল করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। এই সব এলাকায় কর্ণফুলী নদী খালে রূপান্তিত হয়েছে। বক্তারা অচিরেই এইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বন্দর কতৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে এক মাসের আল্টিমেটাম দেন। মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যাপক নোমান সিদ্দিকির সভাপতিত্বে মানববন্ধন পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ, এডভোকেট নাসির উদ্দিন, পরিবেশ ফোরামের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ কামাল পারভেজ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল, কলামিস্ট আবছার উদ্দিন অলি, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, বাংলাবাজার ইছানগর সাম্পান সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ লোকমান দয়াল, অর্থ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, সদরঘাট সাম্পান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, গ্রিন বাংলাদেশের উপদেষ্টা মোহাম্মদ সাদেক,সাংবাদিক মজিব উল্লাহ তুষার, রিয়াজুর রহমান রিয়াজ। সমাবেশে অংশগ্রহণ কারী অন্যান্য সংগঠন হচ্ছে, চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যান সমিতি ফেডারেশন গ্রিন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল।