English

21 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

কনকনে ঠাণ্ডা, কষ্টে গবাদি পশু

- Advertisements -

কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে দিনাজপুরে হাড় কাঁপানো কনকনে শীত পড়ছে। এতে বিপর্যস্ত হচ্ছে ওই জনপদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দিনাজপুরসহ এ অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুগুলোও কাহিল হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে এই পশুগুলো। এসব গাবাদিপশু নিয়ে বিপাকে খামারিসহ কৃষকরা।

প্রকৃতির এমন প্রতিকূল আবহাওয়ায় জেঁকে বসেছে গবাদি পশুগুলোর ওপর। প্রতিনিয়তই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ গৃহপালিত পশু-প্রাণী।

বিভিন্ন উপজেলার হাসপাতালের তথ্য মতে, প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ জন ভুক্তভোগী মানুষ তাদের পশুর চিকিৎসা নিতে আসছেন। খামার মালিকদের শুকনো খাবার, গোয়ালে তাপের ব্যবস্থা রাখাসহ পশুর গায়ে চটের বস্তা জড়িয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস।

এদিকে বিভিন্ন গ্রামে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই খামারিরা গরুগুলো গোয়ালঘরে বেঁধে রেখেছেন। প্রচণ্ড শীত থেকে রক্ষা করতে পশুগুলোকে চটের বস্তা জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। হাতেগোনা কিছু মানুষ তাদের ছাগলকে পুরাতন কাপড় পরিয়ে রক্ষার চেষ্টা করলেও অধিকাংশ ছাগলেরই যত্ন নিতে পারছেন না। এসব কারণে পশুগুলো শীতকালীন নানা সমস্যায় ভুগছে বলে জানান খামারি ও কৃষকরা।

চিরিরবন্দরের নশরতপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, তারা নিজেরাই শীতে কাহিল। এরপরেও গরুগুলোকে রাতে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। গোয়াল ঘরে আগুন জ্বালিয়ে তাপ দেয়ার পাশাপাশি গোয়াল ঘরের চারদিকে আটকে দেয়া হয়। হিমেল হাওয়ার সাথে ঠাণ্ডা বেশি হওয়ায় গরুগুলোকে বাইরে আনা যায়নি।

দিনাজপুর সদরের উলিপুরের কোয়েল পাখির খামার মালিক আসাদুজ্জামান লিটন জানান, ঘনকুয়াশা আর শীত থেকে কয়েল পাখিকে বাঁচাতে খামারের চারদিকে ঘিরে রাখার পাশাপাশি ভেতরে গরম রাখতে বিদ্যুতের বাল্ব জ্বালিয়ে তাপ দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন