দেড় বছরেরও বেশি সময় পর আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন পর্যটকরা। করমজলসহ সুন্দরবনের সব স্পটেই যেতে পারবেন তারা। একইসঙ্গে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ আহরণের জন্য পাস পারমিটও দেয়া হবে।
রোববার (২৯ আগস্ট) বিকেলে বন বিভাগের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মো. মহসিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিভাগীয় এই বন কর্মকর্তা বলেন, গত ১৯ আগস্ট থেকে দেশের সব পর্যটন স্পট খুলে দেওয়া হলেও সুন্দরবনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী ১ তারিখ থেকে সুন্দরবন খুলে দেয়া হবে কি-না, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশক্রমে আজ স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করা হয়। সভায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
তবে একটি লঞ্চে ৭৫ জনের বেশি যাতায়াত করতে পারবেন না বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মো. মহসিন।
গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ। তবে বন বিভাগের এ কর্মকর্তা বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় সুন্দরবনের করমজল, কটকা, কচিখালী, হরবাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, দুবলা ও নীলকমলসহ সমুদ্র তীরবর্তী এবং বনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে লঞ্চ, ট্যুরবোট, ট্রলার ও বিভিন্ন নৌযানে চড়ে যেতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন খুলনার সভাপতি এম নাজমুল আযম ডেভিড জাগো নিউজকে বলেন, খুলনায় প্রায় শতাধিক ট্যুর অপারেটর রয়েছে। এরমধ্যে ৬৩টি রয়েছে রেজিস্ট্রিকৃত। পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন প্রায় ১৫০০ কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ট্যুর অপারেটরদের বিশাল ক্ষতি হয়েছে।