দেশজুড়ে বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পানি। সম্প্রতি দেশের অনেক স্থানেই রাসেল ভাইপারসহ বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত সাপের দেখা মিলেছে। এতে জনমনে তৈরি হয়েছে আতংক।বর্ষা মৌসুমে আর্দ্র আবহাওয়া হওয়ায় সাপ গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে এবং উঁচু এলাকায় ঢুকে পড়ে। এমন কিছু বিষাক্ত সাপ রয়েছে যা কামড়ালে মুহূর্তেই আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে। তাই এ সময় বাড়তি সতর্ক হওয়া দরকার।
এমন কিছু প্রাকৃতিক গাছ রয়েছে যা সাপ সবসময় এড়িয়ে চলতে চায়। বাড়িতে নির্দিষ্ট কিছু গাছ লাগালে সাপের প্রবেশ অনেকাংশে ঠেকানো সম্ভব। তেমনি কিছু গাছ নিয়ে আলোচনা থাকছে এই প্রতিবেদনে।
রসুন গাছ
সাপ তাড়ানোর প্রাকৃতিক ও বাস্তবসম্মত উপায়গুলোর মধ্যে প্রথম ও কার্যকর একটি গাছ হলো রসুন গাছ। এই গাছে রয়েছে সালফোনিক অ্যাসিড। যার গন্ধ খুব শক্তিশালী ও তীক্ষ্ণ হওয়ায় সাপ পছন্দ করে না। রসুন গাছ বাড়িতে লাগাতে পারলে সাপের প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে।
পেঁয়াজ গাছ
বাড়িতে সাপের প্রবেশ আটকাতে বাড়িতে পেঁয়াজ গাছ লাগানো একটি কার্যকর পদ্ধতি। এতে রসুনের মতো সালফোনিক অ্যাসিডও রয়েছে। এই অ্যাসিডের কারণে পেঁয়াজ কাটলে চোখের জল বেরিয়ে আসে। সাপ এই অ্যাসিডে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না বলে পালিয়ে যায়।
সর্পগন্ধা
সাপের নাম হয়ে সাপের কাছে শত্রু। গাছটির নাম হল সর্পগন্ধা। এই গাছের শিকড় হলুদ বা বাদামী। এ ছাড়াও গাছের পাতাগুলো উজ্জ্বল সবুজ রঙের হয়। কথিত রয়েছে, এই গাছের গন্ধ এতটাই খারাপ যে সাপ গন্ধ পেলেই পালিয়ে যায়।
তুলসী গাছ
তুলসী গাছ হলো ওষুধিগুণে পরিপূর্ণ। একটি পাত্রে তুলসী গাছ লাগিয়ে বাড়ির দরজা, জানালা বা বারান্দায় রাখলে সাপ এবং বিছে বাড়ির আশপাশে আসবে না। এই গাছের গন্ধ সাপকে বাড়ির থেকে দূরে রাখবে।
লেমনগ্রাস
লেমনগ্রাস বাড়ির পাশে বা পাত্রে লাগানো যেতে পারে। এই ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ থেকে যে গন্ধ আসে তা সাপ সহ্য করতে পারে না। এমনকী লেমনগ্রাসের গন্ধে সাপের পাশাপাশি মশারাও পালায়।
স্নেক প্ল্যান্ট
স্নেক প্ল্যান্ট নামে এই গাছটি বাড়িতে একটি টবে লাগিয়ে জানালা বা বারান্দায় রাখা যেতে পারে। স্নেক প্ল্যান্টের গন্ধ বাড়ির পাশে সাপ আসতে দেবে না।
ক্যাকটাস গাছ
বাড়ির পাশে একটি ক্যাকটাস গাছ লাগানো যেতে পারে। এই গাছটি বাড়ির জানালা অথবা বারান্দায় রাখা হলে বাড়ির আশপাশে সাপ দেখা যাবে না। কারণ, এর গন্ধই সাপদের বাড়িতে ঢুকতে দেবে না।
মুগওয়ার্টে গাছ
এ ছাড়া মুগওয়ার্টে নামক একটি গাছ রয়েছে যার গন্ধ খুবই বেশি। এই গাছের দুর্গন্ধ এরকমই যে সাপ এড়িয়ে যায়। এই উদ্ভিদ রক্ষণাবেক্ষণ অনেক খাটনির ও খরচ সাপেক্ষ।