পাল্লা দিয়ে চলছে ডিভোর্সের ঘটনা। সম্প্রতি বিচ্ছেদ হয়ে গেলো রাফসান সাবাবের। এর আগে বিচ্ছেদ হয়েছিল ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরিমনির।
তবে পাখিদের বিয়েও নাকি এখন আর টিকছে না! অবাক হচ্ছেন? কেন পাখিদের মধ্যেও বিচ্ছেদ বাড়ছে তার ব্যাখ্যা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আজকাল পরকীয়ায় জড়াচ্ছে পাখিরাও। সাধারণত, পুরুষ ও স্ত্রী পাখি গাঁটছড়া বাঁধার পরে প্রথম সন্তান আসা পর্যন্ত একসঙ্গেই থাকে। এটাই পাখিদের নিয়ম।
আবার এমনও দেখা যাচ্ছে, পাখি দম্পতির একজন অনেক দূরে উড়ে গিয়ে আর ফিরে আসছে না। সেখানেই অন্য সংসার পাতছে। ফলে বিচ্ছেদ হচ্ছে অচিরেই। অতিথি পাখিদের ক্ষেত্রে ঠিক এ কারণে বিচ্ছেদ বেশি হচ্ছে। ‘লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপ’ আজকাল পাখিরাও পছন্দ করছে না।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাখিদের বিচ্ছেদের ব্যাপারটা হাস্যকৌতুক হিসেবে মনে হলেও মোটেও তা অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। ডিজিটাল সভ্যতার বাড়াবাড়ির কারণে পাখিদের পারস্পরিক কথোপকথন ও তাদের বংশবিস্তারের প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে।
মানুষের মতো পাখিদেরও নিজেদের সমাজ, গোষ্ঠী থাকে। কিন্তু এখন পাখিরা নিজেদের বাসস্থান হারাচ্ছে। পাখিদের প্রেম আর জমছেই না। পাখিরা যে গান শুনে বা বুলি শুনে ছুটে এসে সঙ্গী বেছে নিত, সেই প্রক্রিয়াই এখন বাধা পাচ্ছে মোবাইল নেটওয়ার্কের যুগে। তাই প্রেমিকের বাড়ির ঠিকানা খুঁজেই পাচ্ছে না প্রেমিকারা। পাখিদের মিলনেও বাধা পড়ছে। তাদের সংসার ভাঙছে।