বৈশাখ কেবলই এলো। এর মধ্যেই দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ।
বাঘের খাঁচার সামনে গিয়ে দেখা যায়, খাঁচার ভেতরে তাজা গরুর গোশত রাখা আছে। কিন্তু সে খাবারে আগ্রহ না দেখিয়ে গরম থেকে বাঁচতে বাঘ বসে আছে গাছের ছায়ায়।
বারবার পানিতে নেমে গলা পর্যন্ত ডুবিয়ে বসে থাকছে। চক্কর দিচ্ছে পানির মধ্যেই।
রোদ থেকে বাঁচতে চিত্রা হরিণের পালকেও গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিতে দেখা যায়। এর মধ্যে কয়েকটি হরিণ কিছুক্ষণ পরপর পানির হাউস থেকে পানি পান করছে। কিছু হরিণ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নালায় চুমুক দিচ্ছে পানির জন্য।
এ বিষয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, কয়েক দিন যাবত গরমটা বাড়তে শুরু করেছে। এর থেকে স্বস্তি পেতে প্রাণীদের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি।
প্রাণীদের খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন এনেছি, যেসব ফলমূলে পানি থাকে যেমন তরমুজ, বাঙ্গি, শসা ও খিরা- এ জাতীয় খাবার দিচ্ছি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ শেডে (খাঁচা) প্রাণীদের পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং কিছুক্ষণ পরপর পানি স্প্রে করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাঘ-সিংহ গরম সহ্য করতে পারে না। এই প্রাণীগুলোর জন্য আমরা প্রাকৃতিকভাবে পানির ব্যবস্থা করেছি। চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচার সঙ্গে একটি ন্যাচারাল ফোয়ারা আছে। বাঘ দুটি এই ফোয়ারার পানিতে নেমে গোসল করে। অন্য শেডের ভেতরে বড় হাউজে পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এবারের ঈদের ছুটিতে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের সমাগমের তথ্য জানিয়ে পরিচালক বলেন, এবার ঈদের দিন চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী এসেছে এক লাখ। দ্বিতীয় দিন ছিল এক লাখ ৫০ হাজার, তৃতীয় দিন এক লাখ আশি হাজার এবং চতুর্থ দিন এক লাখ দর্শনার্থী এসেছে। সোমবারও দর্শনার্থীর ভালো চাপ দেখা গেছে।