নেপথ্যে নাগারে বাজছে ‘ধুম তানা ধুম তানা ধুম তানা ধুম তানা ধুম তা…’। আর তালে তালে পা ফেলে লাল শিফনের আঁচল উড়িয়ে চুল ওড়াতে ওড়াতে এগিয়ে আসছেন একসময়ের আলোচিত জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন। দেখে আপামার ভারতবাসী তো কোন ছাড়, বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানেরও হাঁটু দুর্বল।
দুই হাত ছড়িয়ে তার প্রিয় পোজ দিতে গিয়ে মাটিতে বসেই পড়লেন। ‘ম্যায় হু না’ সিনেমার সেই দৃশ্য ছিল বলিউডের ক্লাসিক বাণিজ্যিক ছবির একটি বৈগ্রাহিক মুহূর্ত। ২০ বছর পর সুস্মিতা সেই মুহূর্তের স্মৃতিকে আরও একবার তাজা করে তুললেন। লাল শিফন পরে হাজির হলেন লেন্সের সামনে। আর দেখা গেল, ম্যায় হু নার কেমিস্ট্রির প্রফেসর মিস চাঁদনি চোপড়ার কেমিস্ট্রি আবার একই রকম জীবন্ত হয়ে উঠেছে। লাল রঙের শিফন শাড়িতে তিনি এখনো আগের মতোই বহ্নিশিখা।
বলিউডের নায়িকা আর তাদের শিফন শাড়ি ওড়ানো অবতার বরাবরই ভক্তকূলে সমাদর পেয়েছে। সেটি ছবির নির্মাতারাও ভালো করে জানেন। তাই পুরোনো ফর্মুলা এ যুগেও যখন তখন কাজে লাগান।
এই সেদিনও ‘রকি অ্যান্ড রানি কি প্রেম কাহানি’তে শিফন শাড়িতে ভক্তদের বুকে ঢেউ তুলেছেন আলিয়া। তবে লাল শিফন শাড়িতে সুস্মিতাকে দেখে ভক্তরা বলছেন— শিফন শাড়ির ওপর কীভাবে প্রভুত্ব করতে হয়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন বঙ্গসুন্দরী।
সুস্মিতার চেহারার নিখুঁত আদল ফুটে উঠেছে লাল শিফনে। অথচ কোথাও কোনো বাড়তি দেহ প্রদর্শনের প্রয়োজন পড়েনি। লাল শাড়ির সঙ্গে সামান্যই অলঙ্কার পরেছেন। সুস্মিতা কানে মুক্তোর দুল, বাঁ হাতে এক খানি আংটি আর শাড়িতে একটি সাদা চিতার আদলের ব্রোচ। তাতেই তার থেকে চোখ ফেরানো দায়। অনুরাগীদের কেউ কেউ ওই রূপে সুস্মিতাকে দেখে ম্যায় হুঁ নার প্রসঙ্গ টেনেছেন।
কেউ কেউ বলেছেন, ছবি দেখে মনে মনে ধুম তানা ধুম তানা বাজনা বাজতে শুরু করেছে তাদের। তবে ছবিতে সুস্মিতার পাশাপাশি আলাদা করে ফ্যাশন জগতের নজর টেনেছে তার সাদা চিতা ব্রোচও। সুস্মিতা যদিও জানিয়েছেন, ওই ব্রোচ এবং যেটুকু গহনা তিনি পরেছেন, তার সবটাই তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে।