সম্প্রতি বলিউডে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমা। এটি পরিচালনা করেছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। যদিও সিনেমাটি মুক্তির আগে তেমন প্রচার-প্রচারণা দেখা যায়নি। কিন্তু মুক্তির পরপরই সিনেমাটি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
ভারতজুড়ে ইতোমধ্যেই সিনেমাটি ঝড় তুলেছে। মাত্র ৯ দিনে বলিউড বক্স অফিস কাঁপিয়ে ইতোমধ্যেই প্রায় দুই শ’ কোটি রুপি আয় করেছে। মাত্র ১৪ কোটি রুপি বাজেটে নির্মিত একটি সিনেমার এমন অবিশ্বাস্য সাফল্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও চলছে আলোচনা।
সিনেমাটি নিয়ে যখন আলোচনা চলছে। ঠিক তখনই সামনে আসে বেশ কয়েক বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। পরিচালকের বিরুদ্ধে এক সময় অভিযোগ এনেছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। তিনি সে সময় যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন তার বিরুদ্ধে।
এদিকে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ইস্যুতে দুটি ভিন্ন মতামত উঠে আসছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে। ভারতের অধিকাংশ মানুষ এটিকে সমর্থন দিচ্ছেন। বিশেষ করে হিন্দুরা সিনেমাটিকে কেন্দ্র করে বেশ রসালো আলোচনা করছেন। অন্যদিকে ভারতের মুসলিমরা দাবি করছেন, সিনেমায় তাদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে শত্রু রূপে দেখানো হয়েছে। যা আসলে তারা নন।
এই ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন বলিউডের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় অভিনেতা নানা পাটেকর। মূলত তিনি মনে করেন হিন্দু-মুসলমানের মধ্যকার শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে এই সিনেমা মুক্তির পর থেকে। আর সম্পর্ক নষ্ট করাই এই সিনেমার মূল গল্প।
তিনি আরও বলেন, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমাটি সমাজের শান্তি ব্যবস্থা নষ্ট করে দেবে। হিন্দু ও মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষই এই ভারতের বাসিন্দা। দুই সম্প্রদায়েরই শান্তিতে থাকা উচিত। তাদের একে-অন্যকে প্রয়োজন, পরস্পরকে ছাড়া থাকতে পারবেন না কেউই। এখন এই সিনেমার জন্য যদি এই দুই সম্প্রদায় ভাগ হয়ে যায় তাহলে তো হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। এমন সিনেমা মুক্তি দেওয়া উচিত নয়, যে সিনেমার কারণে মানুষে মানুষে ভাগ হয়ে যায়। এই সিনেমার সংশ্লিষ্ট সবাইকে জিজ্ঞেস করা উচিত, এই সিনেমা মুক্তির পেছনে উদ্দেশ্য কী?
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালে কাশ্মীরের হিন্দু পণ্ডিতদের ওপর নির্যাতনের গল্পে নির্মিত আলোচিত-সমালোচিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। সিনেমাটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, দর্শন কুমার ও পল্লবী যোশি।