গত ২২ নভেম্বর ছিল বাংলা একাডেমী পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক, কবি, গীতিকার, নাট্যকার, পরিচালক, স্থপতি এবং বিশ্ব পর্যটক শাকুর মজিদের জন্মদিন। এ জন্মদিনের আয়োজন করেন শাকুর মজিদের সহধর্মিনী অধ্যাপক হোসনে আরা জলি। এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন লেখক শিল্পী সাংবাদিকসহ মিডিয়া অঙ্গনের অনেকেই।
তাদের মধ্যে কিংবদন্তী জুয়েল আইচ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব খ. ম. হারুন,অন্যপ্রকাশের মাজহারুল ইসলাম, সিরাজুল কবির কমল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনন্ত হিরা, নূনা আফরোজ, শাকুর মজিদের কয়েকজন স্থপতি বন্ধু, কণ্ঠশিল্পী স্মরণ, মোমিন বিশ্বাস, অনন্যা আচার্য্য, রুদ্র, খ্যাতিমান সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, লেখক সাংবাদিক পলাশ মাহবুব, সাহিত্য সমালোচক আলতাফ শাহনেওয়াজ, ফাতেমা আবেদীন নাজলা, বিনোদন সাংবাদিক আহমেদ তেপান্তর, রঞ্জু সরকার ও চলচ্চিত্র নায়িকা মানষী প্রকৃতি অন্যতম।
আয়োজনটি ঘরোয়া হলেও মোমিন বিশ্বাস-স্মরণ, অনন্যা আচার্য্য-রুদ্র’র অন্যরকম ভালো লাগা গান ছিল দারুণ উপভোগ্য। কিংবদন্তী যাদুশিল্পী জুয়েল আইচের মনোমুগ্ধকর যাদু উপস্থিত অতিথিদের অবাক করে দেয়। সবশেষে অনন্ত হিরা আর নূনা আফরোজের তাৎক্ষণিক অভিনয় সকলের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তাদের এ আবেগঘন অভিনয়ে অভিভূত অনেককেই চোখের জল মুছতে দেখা যায়।
করোনাকালে বলতে গেলে আড়ালেই ছিলেন যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ। এই সময়ে বাইরে দেখা যায়নি তাকে। শাকুর মজিদের জন্মদিনে বেশ প্রাণবন্ত ছিলেন তিনি। শাকুর মজিদের মূল্যায়ন করতে গিয়ে বিশ্বনন্দিত যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ বলেন, ইদানীং অনেক ব্যস্ততা যাচ্ছে আমার, ভাবিনি আসতে পারবো কিন্তু পরে ভাবলাম এমন করে আড্ডার দাওয়াত নিতুন কুণ্ড, হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া আর কেউ অনেক দিন দেয় নি। তারাও নেই, তাই নিজের মতো করেই সময় কাটে।
ঠিক সেই মুহুর্তে শাকুর দাওয়াত করলো। ভাবলাম যেতেই হবে, তাছাড়া বয়স হয়েছে আমার হয়তো এটাই হতে পারে আমাদের শেষ আড্ডা। তাই কোনোরকম কাজ সেরে শাকুর মজিদের ঘরোয়া জন্মদিনে অংশীজন হওয়ার লোভে ছুটে এলাম। ভুল করিনি, স্বল্প পরিসরে গোছানো আয়োজন ছিলো। অনেকদিন পর খুব ভালো লাগল। আরো কিছুদিন যাক না এভাবেই ক্ষতি কি?