সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ পর্নোগ্রাফি ফিল্ম তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে। গত সোমবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ। যে মামলায় ইতিমধ্যে পুলিশের জালে ৯ জন ধরা পড়েছেন।
লকডাউনের সময় শ্যালক প্রদীপ বক্সীর কোম্পানি কেনরিন লিমিটেডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ নীল ছবির ব্যবসা শুরু করেন কুন্দ্রা। রাজ মুম্বাইয়ে নিজের অফিসে বসে নীল ছবির ব্যবসা করতেন। তারপর ইউকে-তে ক্লিপ পাঠাতেন প্রদীপের কাছে। ‘হটস্পট’ নামের একটি অ্যাপ তৈরি করেছিলেন দু’জনে। সেখানে আপলোড করা হত ভিডিও। প্রদীপকে উইট্রান্সফারে ভিডিও পাঠাতেন রাজ। এ সব কিছুর যথাযথ তথ্য প্রমাণ মুম্বাই পুলিশের হাতে এসেছে।
এদিকে, স্বামীর কুকীর্তি ফাঁস হওয়ার পর থেকেই শিল্পা শেঠির জীবনে এসেছে বিপুল পরিবর্তন। হাতে সে ভাবে কোনো কাজ নেই এই অভিনেত্রীর। সিনেমা তো নেই বললেই চলে। নাচের রিয়েলিটি শো ‘সুপার ড্যান্সার’-এর বিচারকের দায়িত্ব পালন করে টাকা উপার্জন করছিলেন। কিন্তু শিল্পপতি স্বামীর জন্য দেখা যাচ্ছে এখন সেই কাজও বন্ধের পথে।
স্বামীর কুকর্মের জন্য বেচারা স্ত্রীকে ভুগতে হচ্ছে। লজ্জায় কাউকে নিজের মুখ ও দেখাতে পারছেন না শিল্পা। অভিনেত্রী এখন ছেলে সন্তান নিয়ে নিজের বাড়ি ছেড়ে বোনের বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন। বলিপাড়ায় নতুন গুঞ্জন- শিল্পাকে বাদ দিয়ে কারিশমা কাপুরকে ‘সুপার ড্যান্সার’ শোয়ের বিচারকের দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
‘সুপার ড্যান্সার’-এর এখন চতুর্থ সিজন চলছে। এই রিয়েলিটি শোয়ের প্রথম সিজন শুরুর দিন থেকেই প্রধান বিচারক হিসেবে ছিলেন শিল্পা। টিআরপির দিক থেকে এই শো ছিল বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু স্বামী গ্রেফতার হওয়ার পর তিনি আর এই শোয়ের শ্যুটিং ফ্লোরে আসেননি। তিনি কিছুদিনের জন্য বিরতি নিয়েছিলেন।
তবে বলিউড সূত্রে জানা যায়, শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রার গ্রেফতারের পর শিল্পা যদি এই শোয়ে বিচারকের আসনে বসেন তাহলে কিছুটা হলেও এই শোয়ের টিআরপি কমতে পারে। তাই চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এই শিল্পাকে রাখবে কিনা তা নিয়ে বেশ দ্বন্দ্বে আছেন।
এ কারণে আপাতত কিছুদিনের জন্য এই রিয়েলিটি শোয়ের টিআরপি বাঁচাতেই শিল্পার বদলে করিশ্মা কাপুরকে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনওরকম স্পষ্ট মন্তব্য পাওয়া যায়নি শোয়ের প্রযোজক সংস্থার কাছ থেকে। কারিশমা কাপুর আদৌও এই শোয়ের বিচারক হবে কিনা সেই ব্যপারে অভিনেত্রীর তরফ থেকে এখনই কোনো নিশ্চিয়তা নেই।