কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা সৌরভ দাস। সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছিলেন। এসেই মিথিলাকে ফোন, ‘দোস্ত আমি তো তোমার দেশে, আমি এখন ঢাকায়। ’ মিথিলা উত্তর দিলেন, ‘তাই নাকি? তাহলে বাসায় চলে আসো।
সৌরভ দাস ভারতের বাংলা ভাষার বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন জি বাংলার ধারাবাহিক ‘বয়েই গেলো’তে অভিনয়ের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষিক্ত হন। এতে তিনি ধারাবাহিকের নায়ক অর্জুনের কাকাতো ছোট ভাই বীরসা বসাক চরিত্রে অভিনয় করেন।
বলিউড চলচ্চিত্রে তাঁর আত্মপ্রকাশ হয়, ওনির রচিত-পরিচালিত ‘কুছ ভিগে আলফাজ্জ’ ছবিটির মাধ্যমে। তিনি অঞ্জন দত্ত, অরিন্দম শীল, বীরসা দাশগুপ্ত, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় ও রাজ চক্রবর্তীর মতো প্রশংসিত বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালকদের সাথে কাজ করেছেন। জি বাংলা সিনেমার চলচ্চিত্র ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’-এ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।
‘মন্টু পাইলট’ ওয়েব সিরিজে কাজ করতে গিয়ে সৌরভের সঙ্গে বেশ ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে মিথিলার। এই বন্ধুত্বের নমুনা কলকাতা ছাড়িয়ে ঢাকাতেও দেখা গেল। আমন্ত্রিত অতিথিকে বাংলাদেশের প্রায় সব নামি খাবার খাইয়েছেন বন্ধু মিথিলা। মিথিলা বলছিলেন, ‘ওকে বাসায় দাওয়াত দিয়ে যা যা খাবার রয়েছে সব রান্না করে খাইয়েছি। অবশ্য আমি রান্না করিনি। মা রান্না করেছে। আমার মা-বাবার সঙ্গেও সৌরভের বেশ ভালো খাতির। যার ফলে ওর খাতির-যত্ন ভালোভাবেই হয়েছে। ’
সম্প্রতি শাহরিয়ার কবিরের জনপ্রিয় কিশোর উপন্যাস ‘নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়’ চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হওয়া মিথিলাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল―কী কী খাইয়েছেন সৌরভকে? ধীরে ধীরে মনে করে বলার চেষ্টা করছিলেন তিনি। জানালেন, তালিকায় ছিল পোলাও, একাধিক পদের মাংস, বিভিন্ন ধরনের ভর্তা, মাছ বেশ কয়েক পদের, শুঁটকি ছিল বহু ধরনের। মিথিলা বলেন, ‘ওর শুঁটকি ভীষণ পছন্দের। যার ফলে শুঁটকির প্রতি ওর আগ্রহ ছিল। মা এসব যত্ন নিয়ে রান্না করেছিল। ’
খেয়েদেয়ে সৌরভ কি তৃপ্ত? এ প্রশ্নের জবাবে মিথিলার সহজ জবাব, ‘এটা তো সৌরভই ভালো বলতে পারবে?’ তার পরও খাওয়ার পর তৃপ্তির ঢেকুর তোলে, সেটা দেখা তো যায়? মিথিলা এ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে হাসলেন।