নাসিম রুমি: দীর্ঘ সাত বছর ডুবে ডুবে জল খেয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা ও অভিনেতা জহির ইকবাল। গত ২৩ জুন দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন এই প্রেমিক যুগল।
সোনাক্ষী হিন্দু ধর্মের অনুসারী আর জহির ইকবাল মুসলিম। দু’জন দুই ধর্মের অনুসারী হওয়ায় বিয়ের আগেই সমালোচনার মুখে পড়েন সোনাক্ষী। সর্বশেষ ধর্মীয় কোনো রীতি না মেনে ভারতের স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৪ অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্ট্রি করেছেন তারা। কিন্তু বিষয়টি মানতে নারাজ বিহারের হিন্দু শিবভাবনি সেনা নামে একটি সংগঠন।
দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল জানিয়েছে, শত্রুঘ্ন সিনহা, সোনাক্ষী সিনহা, জহির ইকবালের ছবি দিয়ে পোস্টার ছাপিয়েছে হিন্দু শিবভাবনি সেনা। এসব পোস্টার পাটনার বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো হয়েছে।
এ পোস্টারে লেখা হয়েছে— সোনাক্ষী-জহিরের বিয়ে লাভ জিহাদকে উৎসাহিত করছে। এই বিয়ে ভালোবাসার আড়ালে একটি ধর্মীয় ষড়যন্ত্র। এর উদ্দেশ্য, হিন্দু সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেওয়া। হিন্দু শিবভাবনি সেনা সোনাক্ষীকে বিহারে প্রবেশ করতে দেবে না।
বিহারের বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো বিক্ষোভ প্রদর্শনের এসব পোস্টারের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ নিয়ে নীরব সোনাক্ষী-জহির। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সোনাক্ষীর বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা। টাইমস নাউকে তিনি বলেন, ‘বিয়ে দু’জন মানুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সে বিষয়ে অন্য কারো হস্তক্ষেপ বা মন্তব্য করার অধিকার নেই। আমার মেয়ে বেআইনি কিছু করেনি।’