সত্তর দশকের গ্রামীণ গল্প প্রধান সাদাকালো সিনেমা ‘সুজন সখী’। দারুণ প্রেমের এই সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭৫ সালে। যেখানে সুজন চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেতা ফারুক ও সখী চরিত্রে কবরী।
বাংলার কালজয়ী এই সিনেমার জনপ্রিয় এই জুটি বাস্তবে ভালো নেই। দুজনেই আছেন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)। একজন কিডনিসহ শারীরিক নানা জটিলতা নিয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন, এবং অন্যজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সিনেমার এই সুজন সখী জুটির সুস্থতা কামনায় সারা দেশের ভক্ত অনুরাগীরা প্রার্থনা করছেন। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিও এই তারকা জুটির সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান জানান, ফারুক ভাই ও কবরী আপা আমাদের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী মানুষ। তাদের জন্য সারা বাংলাদেশের মানুষ প্রার্থনা করছেন। আমরা শিল্পী সমিতির উদ্যোগে শুক্রবার সকাল থেকে চলচ্চিত্রের ‘সুজন সখী’ জুটির সুস্থতা কামনায় এফডিসির মসজিদে কোরআন খতমের আয়োজন করেছি। জুম্মার নামাজের পর তাদের জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।
ফারুক ও কবরীর সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে জায়েদ খান জানান, ফারুক ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে শুক্রবার দুপুরেও কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আগের চেয়ে বেশ উন্নতির দিকে ফারুক ভাই। শরীরের বিভিন্ন অর্গান রেসপন্স করছে। তিনি সাড়া দিচ্ছেন। চিকিৎসকরাও আশাবাদী। অন্যদিকে কবরী আপার অবস্থাও স্থিতিশীল। এখনও তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
৫ এপ্রিল কোভিড পজিটিভ এর রিপোর্ট পাওয়ার পর রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হন কবরী। সেখানেই চলছিলো চিকিৎসা। বুধবার দিবাগত রাত থেকেই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে তাকে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
অন্যদিকে গেল ৪ মার্চ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যান অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক। ১৩ মার্চ শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখানকার স্থানীয় একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এরপর তার অবস্থার আরো অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।