তিন বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রির সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন চিত্রনায়িকা দীঘি। ফেসবুকের পোস্টে দীঘি এ কথা জানিয়েছেন। ঐ পোস্টে জানা যায়, দীঘি নানা সময়ে ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতির শিকার হয়েছেন। তাঁকে কাস্ট করার পরেও বাদ দিয়ে অন্যাকে নেওয়া হয়েছে।
এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন অভিনেতা সুব্রত ও প্রয়াত দোয়েল দম্পতির মেয়ে অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে ইন্ডাস্ট্রিতে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া গত তিন বছরের বিব্রতকর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন তিনি।
তাঁকে কাস্ট করার পর না জানিয়ে অন্যজনকে নিয়ে নেন পরিচালক। সে খবর আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকেই পান অভিনেত্রী। বিষয়টি নিয়ে দীঘি বলছেন, তুমি জানো একা স্টারকিড হওয়ার লড়াই, যার মূল তারকাই তার সঙ্গে নেই। প্রায় সময়ই আমি অনেকের পোস্ট দেখি যে তারা নতুন হিসেবে কাস্ট হচ্ছে। তখন আমি হাসি, মানুষ কেন মিথ্যা আশা দেয় আরেকজনকে, যেখানে তারা আমার ওপর ও আমার দক্ষতা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়।
নতুনদের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই, ভুয়া মানুষদের ওপর তিনি বিরক্ত। দীঘি বলেন, ‘যারা নতুন প্রোজেক্টে নতুন জার্নি শুরু করতে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু ওই ধরনের ভুয়া মানুষের কথা শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত, যারা আমাকে মিথ্যা আশা দেয় এবং দিন শেষে আমাকে অপমানিত করে। ‘
চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা সবচেয়ে বেশি নিষ্ঠুর হয় উল্লেখ করে দীঘি বলেন, ‘আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিষ্ঠুর। আমার কোনো অনুশোচনা নেই, কেননা আমি আমাকে চিনি, জানি আমার দক্ষতা সম্পর্কে। যারা সত্যি আমাকে ভালোবাসে তাদের দোয়া আমার সঙ্গে আছে এবং সিম্পলি আমি আল্লাহর ওপর আস্থা রাখি। ‘
সিন্ডিকেটের খেলায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দীঘি। এমনটাই জানিয়ে বলেন, ‘আমার এই লেখার কোনো উদ্দেশ্য নেই। এটা সবাই জানেন। আর এই ক্ষোভ আমি তিন বছর ধরে বুকে পুষে চলেছি। আমি একেবারে ক্লান্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েছি এই সিন্ডিকেটের খেলায়, দুঃখিত। ‘