সদ্য অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে বিজয়ী প্যানেলকে অভিনন্দিত করার প্রায় এক মাসের মাথায় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে আদালতে রিট করেছেন পরাজিত প্যানেলেরও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার।
তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। নির্বাচনের পরপরই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। যাওয়ার আগে রিটের প্রস্তুতি শেষ করেন। এ নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গণে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সমিতির সিংহভাগ সদস্যই নিপুণের এই কা-ের নিন্দা করছেন। তারা মনে করছেন, নির্বাচনে হেরে গিয়ে তা মেনে নিতে না পেরে নিপুণ শিল্পী সমিতিকে পুনরায় বিতর্কের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী প্যানেলকে অভিনন্দিত করেও নির্বাচনকে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। তার এই অপকর্মের পেছনে দুরভিসন্ধি রয়েছে। তাকে সমিতির সদস্যদের অনেকে ‘মামলাবাজ’ হিসেবে অভিহিত করে সমালোচনা করছেন। এদিকে, গত বুধবার রিট দায়ের করার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোবাইল ফোনে একটি বেসরকারি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেয়ার একপর্যায়ে সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে নিয়ে কটুক্তি করেন, যা ছিল অনাকাক্সিক্ষত।
এর মাধ্যমে পুরো শিল্পী সমাজকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে সমিতির সদস্যরা মনে করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিল্পী সমিতির বেশ কয়েকজন সদস্য বলেছেন, সদস্যদের ভোটে মনোয়ার হোসেন ডিপজল সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা শিল্পী সমাজ একটি পরিবারের মতো। কে জিতল, কে হারল, তা বড় কথা নয়।
যখন কেউ নির্বাচিত হন, তখন তিনি পরাজিত প্যানেলের প্রার্থীসহ সকলের নেত্রীত্ব দেন। এটাই স্বাভাবিক বিষয়। তাকে যখন হেয়প্রতিপন্ন করে বক্তব্য দেয়া হয়, তখন তা সকল সদস্যকে হেয় করার শামিল। কেউ হেরে গিয়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতেই পারেন। তবে যে নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে এবং পরাজিত হয়ে যখন কেউ বিজয়ী নেতৃত্বকে গালাগাল করেন, তখন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা নির্লজ্জের কাজ।
এদিকে, সাধারণ সদস্যদের অনেকে ডিপজলকে নিয়ে কটুক্তি করার কারণে সমিতি থেকে তার সদস্যপদ বাতিলের দাবী করেছেন। বিষয়টি কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং সদস্যদের সেন্টিমেন্ট বিবেচনায় নিয়ে নিপুণের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পারে বলে শিল্পী সমিতির সূত্রে জানা গেছে।
তদন্ত পূর্বক এর প্রমাণ পাওয়া গেলে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তাকে শোকজ এবং সন্তোষজনক জবাব না পেলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হতে পারে। এ সপ্তাহের মধ্যে সমিতির কার্যকরী কমিটি মটিংয়ে বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।