এরই মধ্যে ক্যারিয়ারে পার করেছেন সতেরো বছর। সাম্প্রতিক সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও চলমান বন্যায় বেশ সরব এ অভিনেত্রী।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন নতুন কাজ ও সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গ নিয়ে। যেখানে শিল্পীদের রাজনীতি করা প্রসঙ্গে মম জানান, সক্রিয় রাজনীতি করা শিল্পীদের কাজ নয়।
বর্তমানে অনেক শিল্পীই সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। তাতে কেউ কেউ হচ্ছেন সাময়িক লাভবান, কেউ কেউ হচ্ছেন বিতর্কিত।
শিল্পীদের রাজনীতি করা প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারে মম বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রে বসবাস করলে নিরপেক্ষ থাকা যায় না। কোনো না কোনো পক্ষের প্রতি সমর্থন থাকেই। এটা স্বাভাবিক, কিন্তু সেটা যেন অন্ধের মতো না হয়। রাজনীতির কারণে শিল্পী অন্ধ হলে পথ দেখাবে কে।
শিল্পীদের কাজ শিল্পচর্চা করা। সক্রিয় রাজনীতি শিল্পীদের কাজ নয়। তারা যদি রাজনীতিতে মগ্ন হয়ে পড়েন তাতে শিল্পচর্চা ব্যাহত হবে। সুবিধা নেওয়ার সংস্কৃতির কারণে কিন্তু ন্যায়কে ন্যায় আর অন্যায়কে অন্যায় বলার শক্তি অনেক ক্ষেত্রে থাকে না।’
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন মম।
আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকার কারণ হিসেবে অভিনেত্রী বলেন, “আমি সব সময় সত্য এবং ন্যায়ের সঙ্গে ছিলাম ও আছি। শিক্ষার্থীদের এ দাবি আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। তাই প্রথম থেকেই তাদের সঙ্গে ছিলাম। রাজপথেও নেমেছি। অনেক জীবনের বিনিময়ে আজ নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সবাই মিলে এখন সুন্দর একটা দেশ গড়ব। দেশটাকে সুন্দর করার দায়িত্ব আমাদের সবার। আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক বিচক্ষণ ও মেধাবী, তাদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। তাই আমাদের লক্ষ রাখতে হবে কোনো অপশক্তি যেন এদের নাগালে আসতে না পারে। এক মাসের রক্তঝরা আন্দোলনে আমাদের এ বিজয়।”
আন্দোলন চলাকালীন অভিনয়শিল্পী সংঘ থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে মম বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে এখানে থাকার কোনো মানে হয় না, তাই আমি অব্যাহতি নিয়েছি। একেবারেই আমার ব্যক্তিগত একটি সিদ্ধান্ত ছিল।
তবে সংগঠনের কোনো শিল্পীর সঙ্গে আমার খারাপ সম্পর্ক নেই, এখনো সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক আছে। তবে আমি মনে করি একেকজনের মতামত থাকতেই পারে, ভালোলাগা থাকতেই পারে, অবস্থান ভিন্ন হতে পারে, তবে কারও কাছ থেকে অন্ধত্ব আশা করি না। কোনো কিছুর প্রতি অন্ধত্ব ভালো না। শিল্পী, কবি, লেখকরা দেশের সম্পদ। তাদের সবাই ভালোবাসেন। সেভাবেই তাদের পথচলা ও কাজ করা উচিত।’
অভিনেত্রীকে সামনে দেখা যাবে ‘মাস্টার’ চলচ্চিত্রে। সামাজিক পটভূমিতে রাজনৈতিক যে দৃশ্যপট তৈরি হয়, সেটি নিয়েই এ সিনেমার গল্প। ছাত্র আন্দোলনের আগেই সিনেমাটির শুটিং শেষ হয়েছে বলে জানান অভিনেত্রী। এটি পরিচালনা করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত।