ঢাকাই সিনেমার লাস্যময়ী অভিনেত্রী পূর্ণিমা। ৪২ বছর বয়সে এসেও রূপের দ্যুতি ছড়াচ্ছেন এই নায়িকা। ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। রুপালি পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দাতেও বিচরণ রয়েছে তার।
শুধু অভিনয় নয়, উপস্থাপনাতেও বেশ নজর কেড়েছেন পূর্ণিমা। তবে এখন আর নিয়মিত অভিনয়ে দেখা যায় না তাকে।
বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন পূর্ণিমা। সেখান থেকেই দেশের এক গণমাধ্যমে নিজের কাজের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। এ সময় অভিনেত্রী জানান, সংখ্যা বাড়িয়ে দর্শকের গালি খেতে রাজি নন তিনি।
পূর্ণিমা বলেন, দীর্ঘ বিরতির পর আমার অভিনীত সিনেমা ‘আহারে জীবন’ মুক্তি পাচ্ছে। একসময় বছরে অনেকগুলো ছবি মুক্তি পেলেও এখন আর সেটা হয় না। কারণ, অনেক দিন ধরেই নিয়মিত অভিনয় করছি না।
ঈদে একটা সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এটি অবশ্যই আমার জন্য খুশির খবর। একজন অভিনয়শিল্পীর সিনেমা যখন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়, অবশ্যই সেটা তার জন্য ভীষণ আনন্দের। আর সেটি যদি ঈদ উৎসবে হয়, তাহলে তো সেই আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
‘আহারে জীবন’ সিনেমাটি নিয়ে প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, সিনেমাটি নিয়ে প্রত্যাশা অনেক। কারণ, এটি নির্মাণ করেছেন গুণী নির্মাতা ছটকু আহমেদ। করোনাকালের কাহিনি নিয়ে সাজানো হয়েছে সিনেমাটির গল্প। করোনাকালের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই সিনেমায়। সব মিলে ভালো একটি কাজ হয়েছে। হলে বসে দর্শকেরা একটা ভিন্ন এবং পরিছন্ন গল্পের সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন।
উপস্থাপনায় নিয়মিত হলেও, চলচ্চিত্রে নিয়মিত কাজ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্ণিমা বলেন, উপস্থাপনা আর সিনেমা তো এক নয়। সিনেমা একটা বড় পরিসরের কাজ। দর্শকের পছন্দের একটা ব্যাপার থাকতে হয়। আমি তো নিয়মিত কাজ করতে চাই। কিন্তু সে ধরনের কাজ তো হাতে আসতে হবে।
যেসব গল্প আসে, সেগুলোর অধিকাংশই আমার জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। চরিত্রের সঙ্গে আমাকে যাবে, সেটিও ভাবতে হবে।
তেমন কাজ আসছে না। এলেও অনেক সময় পরিচালক পছন্দ হয় না। দেখা গেল, ছবি এসেছে, বাছবিচার না করেই দৌড়ে গিয়ে চুক্তি করে ফেললাম। ব্যাপারটি তা নয়। আসলে সিনেমার সংখ্যা বাড়িয়ে আমি দর্শকের গালি খেতে রাজি নই।
প্রসঙ্গত, ‘আহারে জীবন’ সিনেমার প্রচারণায় অংশ নিতে ঈদের আগেই দেশে ফিরে আসবেন বলে জানান পূর্ণিমা। সিনেমায় অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন ফেরদৌস।