English

20.4 C
Dhaka
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

শুধু শিল্পসম্মত নাম দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে দাঁড় করানো যাবে না: ইলিয়াস কাঞ্চন

- Advertisements -

সরকারি অনুদান দেয়া ও নেয়ার সময় শর্ত জুড়ে দেয়া হয় শিল্পসম্মত সিনেমা বানাতে। এ নিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, শিল্পসম্মত সিনেমা বানাতে হলে এটা যদি ব্যবসায়িক না হয়, তাহলে তো লস হবে। এ বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে। স্বাভাবিক সিনেমা বানাতে হবে, যা সবার কাছে পছন্দ হয়। শুধু শিল্পসম্মত নাম দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে দাঁড় করানো যাবে না। এক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যবসায়িক সিনেমা তৈরি করতে হবে। আমি নিজেই চলচ্চিত্রে এসেছি শিল্পসম্মত সিনেমা আর্টিস্ট হিসেবে। পরবর্তী সময়ে ব্যবসায়িক সিনেমা দিয়েই আমার সিনেমায় উত্থান হয়েছে। অতএব ইন্ডাস্ট্রিকে দাঁড় করাতে হলে ব্যবসায়িক সিনেমা বানাতে হবে।

বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নয়ন নিয়ে আজ পরামর্শমুলক আলোচনা করেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।

ইলিয়াস কাঞ্চন তার ফেষবুক পেইজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘সরকার যে পদ্ধতিতে অনুদান দিচ্ছে তা বন্ধ করে একটা কমিটি করতে হবে, যারা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনারাই বলুন কারা অনুদান পায়? আমি নিজে অনুদানের জন্য আবেদন করেছি বিগত দিনে কিন্তু কখনো আমাকে অনুদান দেয়া হয়নি। আমি যার হাত ধরে চলচ্চিত্রে এসেছি সুভাষ দত্ত তিনিও কোনদিন অনুদান পাননি। অনুদান পায় কারা, যারা দালালী করতে পাবে। এই সমস্ত বিষয় এর পরিবর্তন আনতে হবে।

আগামী দিনে সিনেমা নির্মানের একটি রূপরেখা বর্ণনা করেন কাঞ্চন। তিনি বলেন, যারা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবে তাদের নিয়ে কমিটি করতে হবে। সে কমিটির মাধ্যমে একটি বড় অংকের অর্থ ব্যাংকে রাখতে হবে। সে ব্যাংকের অর্থ দিয়ে প্রথম বছর ২০টি সিনেমা তৈরি করবে। এ কমিটিই গল্প নির্ধারণ করবে, শিল্পী নির্বাচন করবে। প্রথম বছরের মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার টাকাটা আবার ব্যাংকে চলে যাবে। এ সিনেমাগুলোর মুক্তির মধ্য দিয়ে আরো নতুন ২০টি সিনেমা তৈরি হবে। আমি মনে করি, এভাবে অনুদান না দিয়ে সিনেমা বানানোর জন্য একবারই একটা মোটা টাকা বরাদ্দ করলে সিনেমা মুক্তির পর আবার টাকাটা ব্যাংকে চলে গেলে এ টাকায় আবার আরো সিনেমা নির্মাণ করা যাবে।

একসঙ্গে যদি ১ হাজার কোটি টাকা কিংবা ৫০০ কোটি টাকা দেয়া যায় তাহলে এ টাকা থেকেও একটা লাভের পরিমাণ আসবে। এটাও ব্যাংকে জমা হলো। এ অর্থ দিয়ে যদি বছরে ২০-২৫টি সিনেমা তৈরি হয়, তাহলে মানুষ কাজ করতে পারবে এবং সিনেমা হলগুলো খুলবে, আধুনিকায়ন হবে। এ পদ্ধতিতে কাজ করলে হয়তো সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচানো যেতে পারে।’

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সিনেমার উন্নয়নের জন্য দেশের যেসব সিনেমা হল বন্ধ আছে, এগুলো খুলতে হবে এবং আধুনিকায়ন করতে হবে। কারণ অনেক আগের সিনেমা হলগুলোর এত জীর্ণ দশা যে এমন সিনেমা হলে এ মানুষ সিনেমা দেখতে চায় না।’

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

আজকের রাশিফল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন