বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী শুক্রবার। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বিপরীতে লড়বেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। তার প্যানেলে সভাপতি বরেণ্য অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে অভিনয়ে আগের মতো নিয়মিত নন নিপুণ। তাহলে কেন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়িক কারণে অভিনয়ে আগের মতো নিয়মিত নই, এটা ঠিক। কিন্তু সবসময়ই সিনেমার শিল্পীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। শুধু সহশিল্পীদের সঙ্গেই নয়, এফডিসির অনেকের সঙ্গেই আমার কথা হয়। এই এফডিসির সুবাদেই শিল্পী হিসেবে দেশের মানুষ আমাকে চেনে। তাই নাড়ির সঙ্গে এই সেক্টরটা বেঁধে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা মহামারি শুরুর সময়ে বিএফডিসিতে গিয়ে খুব কাছে থেকে দেখেছি, এই সেক্টরে অনেক সমস্যা! সমিতিগুলোর মধ্যে অনেক দ্বন্দ্ব। পুরো চলচ্চিত্র সেক্টরটাই একটা পরিবার। তাহলে এই পরিবারে এতো দ্বন্দ্ব কেন? এসব দ্বন্দ্ব দূর করতে নতুন নেতৃত্ব দরকার। শুধু সমিতি নিয়ে থাকলেই চলবে না, সবাইকে কাজের মধ্যে আনতে হবে। সেজন্যই নির্বাচনে অংশ নেওয়া।’
সবাইকে কাজের মধ্যে আনাটা কি কঠিন হয়ে যাবে না? উত্তরে নিপুণ বলেন, ‘খুব বেশি কঠিক কাজ কিন্তু না। বেশি বেশি ও ভালো মানের সিনেমা বানানোর দিকে মনোযোগী হলেই কিন্তু কাজের সংখ্যা বাড়বে। চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
নির্বাচিত হলে প্রথমে কোন কাজগুলো করবেন? উত্তরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই চিত্রনায়িকা বলেন, ‘শিল্পীদের অনুদানের টাকায় নয়, কাজ করে বাঁচানোর চেষ্টা করব। সেই ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব প্রথমে। এছাড়া আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এফডিসিতে আনার চেষ্টা করব। প্রধানমন্ত্রীকে দেখাব, তার বাবার গড়া এফডিসি এখন কি অবস্থায় আছে। এই সেক্টরকে আবার সোনালী দিনে ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর নজর খুব প্রয়োজন।’
জয়ের বিষয়ে আপনি কতটুকু আশাবাদী? উত্তরে নিপুণ বলেন, ‘শিল্পীরা তো বিগত কয়েক বছর (মিশা-জায়েদ প্যানেল) সমিতির কাজ দেখেছেন। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি শুধু এটুকু বলতে চাই কাঞ্চন ভাইকে (ইলিয়াস কাঞ্চন) দেশের সব মানুষ চেনেন, জানেন তিনি কতটুকু সৎ ও ভালো মানুষ। যে কোনো কাজই তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে করে থাকেন। আর আমাদের পুরো প্যানেলটাই সাজানো হয়েছে এমন সব শিল্পীদের নিয়ে। তাই জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী।’