এই সময়ের তরুণ অভিনেত্রী নিদ্রা দে নেহা। ছোট পর্দার পাশাপাশি সিনেমাতেও দেখা গেছে তাকে।
সম্প্রতি শোবিজাঙ্গনে নানা অনৈতিকতার অভিযোগ তুলে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। ওই পোস্টে মিডিয়া ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিতও দেন তিনি।
সেই আলোচনায় রেশ কাটতে না কাটতে একটি ফেসবুক লাইভ নিয়ে হাজির হন নেহা। যেখানে কাঁদতে কাঁদতে তিনি জানান, তার বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো না। চিকিৎসকরা দ্রুত দেশের বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। সেজন্য রওয়ানা হয়েছিলেন। তবে কাগজপত্র ঠিক নেই দাবি করে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয় তাদের।
শনিবার বিকেলে নেহা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে জানান, তার সরকারি কর্মকর্তা বাবার এনওসির (নো অবজেকশন লেটার) মেয়াদ ছিল না। সেজন্য তাদের আটকে দেওয়া হয়েছিল।
ওই ভিডিওতে নেহা বলেন, আমরা এর আগে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলাম। তখন হাফ ডান হয়। সেসময় এনওসি নেওয়া হয়েছিল। এবার ব্যাংকে আবার এনওসি চাইলে তারা জানান, আপনার তো এনওসি এই পারপাসে নেওয়া আছে, আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ সেটা মানতে নারাজ। তারা নানান রুলসের কথা শোনাচ্ছে। অথচ পরশুদিন আমার বাবার ট্রিটমেন্টের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া।
বাবার একদম লাস্ট স্টেজ। আমি জানি না কী ঘটবে।
সব জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে আজ (রোববার) তার বাবাকে নিয়ে ভারতে রওয়ানা হবেন বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন নেহা। তিনি বলেন, এনওসির জটিলতার কারণে বাবাকে দেশের বাইরে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের সমস্যার মোটামুটি সমাধান হয়েছে। আজ বাবাকে নিয়ে রওয়ানা হবো।
এর আগে শাকিব খানের সঙ্গে তাণ্ডব সিনেমায় একদিন শুটিং করার পর সেটি থেকে বাদ পড়েন নেহা। এভাবে বাদ দেওয়াটাকে অপেশাদার আচরণ বলেও মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী।
‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগীতায় ২০২০ সালে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে শোবিজে নাম লেখান নেহা। এরপর বিজ্ঞাপন, নাটক, ওটিটির গণ্ডি পেরিয়ে নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়ও। ২০২৪ সালে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘শরতের জবা’।