লকডাউনে মুভমেন্ট নিষেধাজ্ঞায় নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বাসাতেই আছেন। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘কোথাও বের হই না। বের হয়ে যাবোটা কোথায়?’ সম্প্রতি তিনি রোজিনা পরিচালিত ‘ফিরে দেখা’ ছবিটির কাজ শেষ করে এসেছেন ফরিদপুর লোকেশন থেকে।
এখন ছবিটি ডাবিংয়ের পর্যায়ে রয়েছে। ইলিয়াস কাঞ্চন জানালেন, তার কাছে মুভমেন্ট নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার আগে শিডিউল চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে যাওয়ায় আর কাজটা করা হয়নি। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘ছবিটি একেবারে খারাপ হবে না। রোজিনা ম্যাডাম ধরে কাজ করেছেন।’ এ ছবিতে তার সঙ্গে বিতর্কিত অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়াও কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভালোই কাজ করেছে মেয়েটি। সে নাচে ভালো।’ ইলিয়াস কাঞ্চন প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আগে হিসাব রাখতাম। এখন আর হিসাব রাখা হয় না। তবে ২০১৮ সালে আমার শেষ ছবি মুক্তি পেয়েছে। ছবির নাম মনে নেই, শুধু এটুকু মনে আছে – ছবিটি প্রযোজনা করেছেন ববি।’ টানা কয়েক বছরই তার একটি করে ছবি মুক্তি পেয়েছে। তার কাছে ছবির অফার থাকলেও স্বেচ্ছায় তিনি কাজ করছিলেন না। কিন্তু ছেলের উৎসাহে তিনি এখন থেকে নিয়মিত কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মধ্যেই শুরু হয়ে গেল কোভিড। সকলের মতো তারও অগ্রযাত্রা থেমে গেল।
ঘরে বসেই তিনি আশপাশের সকলের খবর রাখছেন। কোভিডের এই পরিস্থিতিতে তার বাসা থেকে বের না হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রতি যেসব তারকা মারা গেছেন তাদের নাম স্মরণ করেন। জানান, এসব মৃত্যুতে তিনি খুবই মর্মাহত। তবে তিনি বলেন, ‘এতো খারাপ সংবাদের মধ্যে আমার জন্য একটা সুসংবাদ হলো আমার মেয়ে ইমা ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেয়েছে। এতোদিন বলতে গেলে এমনিতেই ব্রিটেনে থেকেছে। সে কোনো ক্রমেই দেশে আসতে পারছিল না। এখন আসতে পারবে।’ এছাড়া ছেলে জয় কিছুদিন আগে কোভিডাক্রান্ত হয়েছিল। সেও এখন সুস্থ। এজন্য তিনি অনেকটাই দুশ্চিন্তা মুক্ত।