নাসিম রুমি: উপমহাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। গতকাল তার সংগীত জীবনের ৬০ বছর পূর্ণ হয়। বর্ণিল ও সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারে বাংলা, উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দি, সিন্ধি, গুজরাটি, বেলুচি, পশতু, পারসিয়ান, আরবি, মালয়, নেপালি, জাপানি, স্প্যানিস, ফ্রেঞ্চ, ইতালীয় ও ইংরেজি ভাষাসহ পৃথিবীর মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন রুনা লায়লা।
তার সংগীত জীবনের ৬০ বছর উপলক্ষে চ্যানেল আই সকাল ১২টা থেকে প্রচার করে সরাসরি অনুষ্ঠান, যেখানে তাকে সম্মান জানানো হয়।
১৯৫২ সালে সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীতশিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী। তার ‘দমাদম মাস্ত কালান্দার’ গান উপমহাদেশ বিখ্যাত। পাকিস্তানের ‘জুুগ্নু’ ছবিতে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন রুনা।
১৯৭৪ সালে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন। এরপর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অসংখ্য ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক চলচ্চিত্রেও। দীর্ঘ সংগীত জীবনে ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কারে। এরমধ্যে স্বাধীনতা ও একুশে পদক পেয়েছেন তিনি। সাতবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ ছাড়া ভারত থেকে পেয়েছেন সায়গল পুরস্কার। পাকিস্তান থেকে অর্জন করেছেন নিগার, ক্রিটিক্স, গ্র্যাজুয়েটস পুরস্কারসহ জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক। নব্বইয়ের দশকে গিনেস বুকে স্থান পান এই শিল্পী। রুনা লায়লা নিজের ৬০ বছরের সংগীত জীবন উপলক্ষে বলেন, ৬০ বছর পূর্ণ হচ্ছে আমার সংগীত জীবনের। এটি অনেক অনেক দীর্ঘ একটি যাত্রা। এই যাত্রা কখনই সহজ ছিল না সবার সাপোর্ট, দোয়া ও ভালোবাসা ছাড়া। চ্যানেল আই আজ আমাকে সম্মান জানিয়ে এ দিনটি উদ্যাপন করবে। মুহূর্তটি আমার মিলিয়ন মিলিয়ন ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাঝে পৌঁছে যাবে সরাসরি। সবার প্রতি অগণিত ভালোবাসা। দোয়া রাখবেন।