ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত জুটি পরীমনি ও শরিফুল রাজ। তবে চলচ্চিত্রের চেয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকতে দেখা যায় তাদের। বারবার বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়ে এবার তাদের সংসার অবশেষে ভেঙেই গেল। শরীফুল রাজকে সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পরীমনি ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। রাজের আচরণে অতিষ্ঠ হয়েই তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন পরীমনি, এমনটাই জানিয়েছেন তার আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরীমনির আইনজীবী জানান, নারী আসক্তি রয়েছে রাজের। হাতে নাতে ধরাও পড়েছেন তিনি কয়েকবার। এসব আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ডিভোর্স ফাইল করেছেন পরীমনি। মুসলিম আইন অনুযায়ী তিন মাস পর কার্যকর হয়ে যাবে ডিভোর্স।
‘গুণিন’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান পরীমনি ও শরীফুল রাজ। পরীমণি ও শরীফুল রাজ ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন। তবে পারিবারিকভাবে ২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি ঘরোয়াভাবে আবার তাদের বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট তাদের ঘরে আসে ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য।
এরপর বিভিন্ন সময়ে তাদের সম্পর্কের টানাপড়েন বা বিচ্ছেদের আভাস মিললেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাওয়া যায়নি। এর আগে গত বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর সম্পর্ক বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এই নায়িকা।
তখন তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।’
এই ঘটনার পরে চলতি বছরের ৩০ মে মধ্যরাতে নায়ক শরীফুল রাজের ফেসবুক থেকে নায়িকা তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি ও সুনেরাহ বিনতে কামালের ব্যক্তিগত মুহূর্তের কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ক্লিপস প্রকাশ করা হয়।
সে সময় এই ঘটনায় পরীমনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘আমি তো সুনেরাহ নামের ওই অভিনেত্রীকে চিনিই না। ওর সঙ্গে আমার কখনো কথাই হয়নি। এখন যদি রাজের সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হয় তাহলে আমি ওই মেয়েকেই দায়ী করব। মেয়েটার নামে মামলা করব।’
এরপর জানা যায়, ভালো যাচ্ছে না রাজ-পরীর সংসার জীবন। তারপর থেকেই আলাদাভাবে রাজ ও পরীমনির মুখেও শোনা যায়, একসঙ্গে থাকছেন না তারা। সম্পর্কটা এখন গড়ালো বিচ্ছেদের পথেই।