নাসিম রুমি: ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। যার রূপ-গুনে মুগ্ধ ছিলেন হাজারো তরুণ-যুবক। কিন্তু এই অভিনেত্রী কি না একজনের প্রেমে মরিয়া ছিলেন। কে সেই পুরুষ?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি নাইন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ছোটবেলা থেকেই রূপে-গুনে এগিয়ে ছিলেন ঐশ্বরিয়া। সৌন্দর্যের পাশাপাশি দারুণ মেধাবীও ছিলেন তিনি।
স্কুলে পড়ার সময়েও তার মেধার ছাপ ছিল সকল ক্ষেত্রে। যে কারণে এক শিক্ষিকার পরামর্শ শুনে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। এরপরই জীবন পাল্টে যায় তার।
বিশ্বসুন্দরী হওয়ার আগেই অনেক প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছেন ঐশ্বরিয়া। তার মন জেতার জন্য রীতিমতো লড়াই করতেন পুরুষেরা। তবে অভিনেত্রী নাকি একজনকে বেশ পছন্দ করতেন। যার জন্য তাকে অন্তর্জালে লড়াই করতে হত অভিনেত্রী মণীষা কৈরালার সঙ্গে!
কে ছিলেন সেই পুরুষ, যার মন পাওয়ার প্রতিযোগিতা চলেছিল এই দুই সুন্দরীর মাঝে সেই ব্যক্তির নাম রাজীব মুলচান্দানি। ঐশ্বরিয়ার ক্যারিয়ারের শুরুতে তার সঙ্গেই প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। রাজীব ছিলেন সে সময়ের বেশ নামকরা ফটোগ্রাফার। যিনি ঐশ্বরিয়ার একাধিক ফটোশুট করেছেন। তখনই নাকি রাজীবকে মনে ধরে নায়িকার।
মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা জেতার আগের ঘটনা। রাজীবকে নিয়ে সেসময় রীতিমতো টানাটানি চলত অভিনেত্রীদের মাঝে। বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী মণীষা কৈরালার সঙ্গেও বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন রাজীব। ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে তার মেলামেশা বেড়ে যাওয়াকে ভালোভাবে নেননি তিনি। দুই সুন্দরীর মধ্যে তৈরি হয় বিবাদ।
এসবই পুরোনো ঘটনা। এরপর ঐশ্বরিয়াও ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠিত হন। ১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লীলা ভানসালীর ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে সালমান খানের প্রেমে পড়েন এই নায়িকা। একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে কাছাকাছি চলে আসেন দু’জন। প্রায় দুই বছরের মতো সম্পর্ক ছিল দু’জনের।
কিন্তু একটা সময় সালমানের উপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসেন ঐশ্বরিয়া। এর কয়েক বছর পর অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেন নায়িকা।