বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। শুধু চলচ্চিত্রের পর্দায়-ই নয়, ব্যক্তিগত জীবনেরও প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে আলোচনার শীর্ষে থাকেন তিনি। ১৯৯৪ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া মুকুট জয় করেন এই সুন্দরী। এরপরই নিজের করে নেন মিস ইউনিভার্সের মুকুটও।
দুটি মুকুট জয়ের পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সুস্মিতাকে। ভক্তদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য সব জনপ্রিয় সিনেমা। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম সিনেমা। ১৯৯৭ সালে তিনি তামিল মারপিঠধর্মী সিনেমা ‘রাতচাগান’-এ কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন।
দুই বছর পর তিনি ডেভিড ধবনের হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র বিবি নাম্বার ওয়ান-এ রূপালি চরিত্রে অভিনয় করেন। একই সঙ্গে ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছর তিনি ‘সের্ফ তুম’ ছবিতে অভিনয় করে একই বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০০ সালে তাকে ফিজা চলচ্চিত্রের ‘মেহবুব মেরে’ গানে দেখা যায়।
শুধু কর্মজীবনেই নয়, সুস্মিতা আলোচিত তার ব্যক্তি জীবন নিয়েও। একই সঙ্গে তার এক বিশেষ পরিচয়ও রয়েছে। তিনি একজন সিঙ্গেল মাদার।
২০০০ সালে রেনী নামের এক মেয়েকে দত্তক নিয়ে তুমুল হইচই ফেলে দেন এ অভিনেত্রী। মাত্র ২৫ বছর বয়সে অবিবাহিত নারী হয়ে শিশু দত্তক নেওয়ায় অভিভাবকত্ব নিয়ে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু মুম্বাই আদালত তাদের আবেদন রদ করে। সুস্মিতা জয়লাভ করেন।
এরপর ২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারিতে আলিশা নামের তিন মাস বয়সী আরেকটি বাচ্চাকে দত্তক নেন তিনি। শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, তার আলোচনার বিষয় একাধিক সম্পর্কও। তার জীবনে রয়েছে একাধিক সর্ম্পকের গল্প। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে বিশ্বাস করে সাত পাঁকে বাধা পড়া হয়নি এ দিবার।