নাসিম রুমি: ভারতের সর্বসেরা দুই গায়িকা হলেন লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলে। শিল্পী জগতে একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ব্যক্তিগত জীবনে তাদের মধ্যে মিল ছিল দেখার মতো।
আশা এবং লতা দুজনেই সঙ্গীতজগতের প্রতিষ্ঠিত শিল্পী, পাশাপাশি দুজনেই ছিলেন বোন। স্বাভাবিকভাবেই অর্থের কোনও অভাব ছিল না দুজনেরই। এত বৈভব থাকা সত্ত্বেও কেন দুই বোন সবসময় পরতেন সাদা শাড়ি?
অমৃতা রাও এবং আরজে আনামোলের পডকাস্টে কথা বলতে গিয়ে আশা ভোঁসলে নিজের এবং দিদির জীবন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য শেয়ার করেন।
যেখানে আশা বলেন, আমি এবং দিদি সবসময় সাদা শাড়ি পরতাম। আমাদের মনে হতো, আমাদের গায়ের রঙের সঙ্গে সাদা রঙ একেবারে উপযুক্ত, তাই সবসময় সাদা রঙকেই আমরা বেছে নিতাম।
আশা বলেন, পরবর্তী সময়ে আমি গোলাপি শাড়ি পরতে শুরু করেছিলাম। দিদি কিন্তু কখনও অন্য রঙের শাড়ি পরেনি, কিন্তু আমি ধীরে ধীরে গোলাপি রঙের শাড়ি পরা শুরু করি।
দিদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আশা বলেন, কাজের ক্ষেত্রে আমরা যতই একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি না কেন, ব্যক্তিগত জীবনে আমাদের মধ্যে ভীষণ মিল ছিল। দিদি বাড়িতে ভীষণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করত, কিন্তু একবার যখন বাড়ির বাইরে বের হতো, তখন একদম অন্য মানুষ হয়ে যেত।
আশা ভোঁসলের কথায়, আমরা যখন বাইরে কোনও অনুষ্ঠান করতে যেতাম তখন আমাদের মধ্যে তেমন কথা হতো না। বাড়িতে আমরা মারাঠি ভাষায় কথা বলতাম, কিন্তু বাইরে হিন্দিতেই কথা বলা হতো। তবে যে মুহূর্তে তিনি বাইরের জগতে যেতেন সেই মুহূর্তে তিনি হয়ে যেতেন লতা মঙ্গেশকর, একজন আইকনিক গায়িকা।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৭ দশকেরও বেশি সময় ধরে আশা ভোঁসলে এবং লতা মঙ্গেশকর একের পর এক আইকনিক গান গেয়ে গেছেন। আজ এবং আজ থেকে একশ বছর পরেও এই গানগুলি মানুষের মনে চিরকালের জন্য জায়গা করে রাখবে।