নাসিম রুমি: কিংবদন্তি গণসংগীত শিল্পী ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক ফকির আলমগীরের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী রোববার (২৩ জুলাই)। এদিন ঢাকায় তার নামে একটি সড়ক উদ্বোধন করা হবে।
নিজের নামে একটি সড়কের নামকরণ হোক, জীবদ্দশায় এমনটাই চেয়েছিলেন এই গণসংগীতশিল্পী। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে আলাপে এমন ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছিলেন শিল্পী।
কিন্তু করোনার কারণে দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকায় জীবিত অবস্থায় তা দেখে যেতে পারেননি তিনি। তার মৃত্যুর দুই মাসের মাথায় সিটি কর্পোরেশনের বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয় ফকির আলমগীরের নামে রাজধানীর খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ার ৬ নম্বর সড়কটির নামকরণ করা হবে।
রোববার সড়কটি উদ্বোধন করবেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর বলেন, ‘মেয়র আতিকুল ইসলামের কাছে আমাদের পরিবার চিরকৃতজ্ঞ।
একটি অনুষ্ঠান করে মেয়র রাস্তাটি উদ্বোধন করবেন। এলাকার গণমান্য ব্যক্তিত্বরা ও সংস্কৃতিজনরাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন। আমি চাই ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই ও আজম খান আংকেলদের নামেও রাস্তা হোক। উনাদের মতো গুণী মানুষদের স্মরণে রাখার জন্য এমন উদ্যোগ দেশ নিতেই পারে। ’
খিলগাঁওয়ের চৌধুরীপাড়ার ৬ নম্বর সড়কেই ফকির আলমগীরের বাসা। শুধু নামকরণ নয়, সড়কে একটি ফলকও থাকবে, সেখানে একনজরে ফকির আলমগীর সম্পর্কে জানতে পারবে পথচারীরা।
১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফকির আলমগীর। ২০২১ সালের ২৩ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
শিল্পী কালামৃধা গোবিন্দ হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ পাস করেন।
তিনি ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।