মাঝরাস্তায় নায়িকাসহ অন্যান্য শিল্পীদের রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে নির্মাতা নাসিম সাহনিকের বিরুদ্ধে। ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ’ শিরোনামের একটি সিনেমা নির্মাণ করছিলেন তরুণ এই নির্মাতা। কিন্তু শুরু থেকে যেন বিতর্কের মুখে রয়েছে ছবিটি।
ছবিটিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা ও চিত্রনায়ক কায়েশ আরজু।
গত ২২ ডিসেম্বর পটুয়াখালীর শুটিংয়ে অংশ নেন নায়িকাসহ বেশ কয়েকজন শিল্পী। সেখানে পাঁচ দিনের শুটিংয়ের কথা থাকলেও মাত্র দুদিন শুটিং করে ঢাকায় ফিরছিলেন তারা। এ সময় মাঝপথেই ইউনিটের সবাইকে ফেলে পালিয়ে যান নির্মাতা নাসিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিরিন শিলা বলেন, সেখানে যাওয়ার পর যে হোটেলে আমাদের রাখা হয়েছিল, সেই রুমের অবস্থা খুবই বাজে ছিল, এমনকি সেখানে ঠিকমতো খাবার ও পানি পাওয়া যায়নি। প্রথম দিন থেকেই নাকি ওনার বাজেট সমস্যা ছিল। পাঁচ দিনের শিডিউলের কথা ছিল, কিন্তু কোনোমতে দুদিন শুটিং করে ঢাকায় ফিরছিলাম আমরা।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় ফেরার জন্য দুটি মাইক্রোবাস ও ইউনিটের জিনিসপত্র বহনের জন্য একটা পিকআপ ভ্যান ছিল। আমাদের সঙ্গে নির্মাতাও ছিলেন। দুপুরে রওনা দিয়ে বরিশাল যাওয়ার পর মাইক্রোর ড্রাইভার পথে গাড়ির তেল কেনা, ব্রিজের টোলের টাকা চাইলে দিতে পারেননি তিনি। আর এতে গাড়িও বরিশাল থেকে আর ছাড়তে চাননি গাড়ির ড্রাইভার।
সেখান থেকে হঠাৎ পরিচালক আমাদের রেখে পালিয়ে যান। পরে ছবির আরেক শিল্পী ঢাকায় ফোন করে বিকাশে টাকা আনার পরে আমরা ঢাকায় ফিরতে পেরেছি। তবে পথে যে কষ্ট করেছি, আমার সিনেমার জীবনে এমন ঘটেনি।
জানা গেছে, শুটিং লোকেশন থেকে নিজ খরচে শিল্পীরা ঢাকায় ফিরেছেন। এমনকি সেখানে থাকা খাওয়ার খরচও নিজেরা বহন করেছেন। এতে ব্যাপক ক্ষিপ্ত সিনেমার শিল্পীরা।
ছবির নায়ক কায়েস আরজু অভিযোগ করে বলেন, এর সব কিছুই আমি বাদ দিলাম। ছবির প্রযোজক আমাকে ৩৫ হাজার টাকার একটি চেক দিয়েছিল, সেটিও ব্যাংকে ডিজঅনার হয়েছে। এটি কোনো ভালো নির্মাতার কাজ নয়। শুটিংয়ের শিডিউল নিয়েও অনেক তালবাহানা করেছেন তিনি। এরা আসলে ভালো ছবি করতে আসেনি।
এদিকে, শুটিং থেকে ফেরার পথে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন নির্মাতা নাসিম সাহনিক। তিনি বলেন, রাস্তায় আমি অসুস্থবোধ করলে অন্যভাবে ঢাকায় ফিরি। পালিয়ে আসার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে তিনি কায়েস আরজুর চেক ডিজঅনারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এর আগে, সিনেমায় প্রথমে নায়িকা রাজ রিপাকে চুক্তিবদ্ধ করিয়ে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ উঠে নির্মাতার বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে ২৯ নভেম্বর রাতে রমনা থানায় একটি জিডিও করেন ওই নায়িকা।