২০১৬ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাকিস্তানি শিল্পীরা ভারতে কাজ করতে পারতেন না।
সেই বিধিনিষেধ টপকে ৯ বছর পর বলিউডে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৯ মে‘আবির গুলাল’ নামের একটি সিনেমার মাধ্যমে তার কামব্যাক হচ্ছে।
ফাওয়াদ খানের বলিউডে প্রত্যাবর্তন নিয়ে আপত্তি করেছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় নিরূপম, অশোক পণ্ডিতসহ আরও অনেকে পাকিস্তানি অভিনেতার ভারতে এসে কাজ করার বিরোধিতা করেন তারা।
তবে উল্টো সুর শোনা গেল ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের গলায়। ১৯৯৪ সালে ১৮ বছর বয়সে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া মুকুট জয় করেন সুস্মিতা। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথম বাঙালি তথা প্রথম ভারতীয় হিসেবে মিস ইউনিভার্স মুকুট জয় করেন।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত একটি ফ্যাশন শোতে অংশ নিয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। সঙ্গে ছিলেন সাবেক প্রেমিক রহমান শাল। সেই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের প্রশ্নে সুস্মিতা বলেন, ‘দেখুন, আমি বাউন্ডারি বা দুই দেশের মধ্যে কী সমস্যা, তা নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমি এসব জানি না। আমি শুধু এটুকু জানি যে শিল্প কখনো বাধা মানে না। কোনো বাউন্ডারি দিয়ে শিল্পকে বেঁধে রাখা যায় না। আর এটা হওয়ারও কথা নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই আমাদের সৃজনশীলতা দেখানোর স্বাধীনতা নিয়ে জন্মেছি। আমি চাই না কোনো দেশগত সমস্যা একজন শিল্পীর ক্যারিয়ারে বাধা হয়ে দাঁড়াক।’
পাকিস্তানি ছবিতে কাজ করা প্রসঙ্গে সুস্মিতা বলেন, ‘আমি সব সময় ভালো ছবিতে কাজ করতে চাই। সিনেমাটি কোথাকার, সেটা প্রধান কথা নয়। প্রধান কথা হলো, সেই চরিত্র বা গল্পটি যেন ভালো হয়।’
সুস্মিতার এই বক্তব্য নিমেষে মন ছুঁয়ে গেছে দর্শকদের। চিরকালই সুস্মিতার কথায় মিষ্টতা খুঁজে পান দর্শকেরা। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। সুস্মিতার বক্তব্য শুনে একজন লিখেছেন, ‘সত্যিই আপনি কী সুন্দরভাবে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেন।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘আপনার প্রতি শ্রদ্ধা।’