নাসিম রুমি: চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে লুকিয়ে থাকে অজানা অনেক ঘটনা। ঘটে নানা অঘটনও। তেমনই সম্প্রতি একটি অঘটন ঘটেছে। এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমার পরিচালক রাশিদ পলাশের সঙ্গে চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির তুমুল দ্বন্দ্ব বাঁধে যা গড়িয়েছে হাতাহাতি পর্যন্ত।
জানা গেছে, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ওয়াদা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন সিনেমাটির পরিচালক। যে বাজেটের কথা নির্মাণের সময় বলা হয়েছিল, সিনেমা শেষ করতে তার দ্বিগুণ খরচ হয়েছে। এ ছাড়া ঈদে নামমাত্র প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। নির্মাণের পর প্রযোজককে শুধু ঘুরিয়েছেন ওই পরিচালক। শুধু তাই নয়, প্রযোজক সব শিল্পীর পারিশ্রমিক পরিচালকের হাতে দিলেও তিনি শিল্পীদের সেটি দেননি। একের পর এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন লগ্নিকারকরা। যার ফলে নায়িকার সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাধে পরিচালকের। যার ফলশ্রুতিতে পরিচালককে বেদম পেটান ওই নায়িকা।
আরও জানা গেছে, নায়িকার ক্ষোভ হলো তাকে যেভাবে সিনেমাটি নির্মাণ করতে বলা হয়েছিল, তার বিন্দুমাত্র ছোঁয়াও তিনি পাননি। দুর্বল নির্মাণ, এডিটিং ও হল না পাওয়ায় রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পিটিয়েছেন পরিচালককে। ওই সময় সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থার সংশ্লিষ্টরাও উপস্থিত ছিলেন।
সবার অভিযোগের তীর ছিল পরিচালকের দিকেই। ঘটনার সময় পরিচালকও বোঝানোর চেষ্টা করেন লগ্নির টাকা কীভাবে উঠে আসবে। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। নায়িকা ভরা বৈঠকে পরিচালককে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুসি মারতে থাকেন।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে একাধিক মিডিয়া ‘ময়ূরাক্ষী’ সিনেমার পরিচালক রাশিদ পলাশ ও চিত্রনায়িকা ববিকে মুঠো ফোনে কল দেয়া হলেও তারা কেউ কল রিসিভ করেননি। এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তারা। এ ঘটনায় নেট দুনিয়া উত্তাল।
ঘটনার সত্যতা শিকার করে সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক শাহাদাত হোসেন লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ও রাগারাগি হয়েছে ঠিক আমি জানি না। তবে দুজনের রাগারাগি হয়েছে এটা সত্য এবং পরিচালকের গায়ে হাতও তুলেছে। ববিকে পারিশ্রমিক ঠিকমতো দেওয়া হয়নি আমাকে জানিয়েছিল। পলাশ বলছে—তার সাথে যেভাবে কথা হয়েছে সেভাবেই টাকা দিয়েছে। দুজনের দুই রকমের কথা।’