বিশিষ্ট সাংবাদিক-সাহিত্যিক মাহফুজ সিদ্দিকীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। প্রয়াত মাহফুজ সিদ্দিকীর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
মাহফুজ সিদ্দিকী ১৯৪২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, টাঙ্গাইলের কলেজ পাড়ায় জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বাবার নাম, দানেশ আলী মিয়া, মাতা জাহানারা বেগম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ পাস করেন।
১৯৬৫ সালে সাপ্তাহিক ‘পূর্বদেশ’-এ প্রথম সাংবাদিকতা শুরু করেন মাহফুজ সিদ্দিকী। পরে সাপ্তাহিক ‘চিত্রালী’তে যোগ দেন। পরবর্তীতে ‘চিত্রালী’র নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পিআইবি ও বাসসে আমন্ত্রিত ফিচার সম্পাদনাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
মাহফুজ সিদ্দিকী একাধারে চিত্রসাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিত্রনাট্য-কাহিনীকার ও সংলাপ রচয়িতা।
তিনি যে সকল চলচ্চিত্রের কাহিনী লিখেছেন – একালের নায়ক, প্রেম তুই সর্বনাশী। চিত্রনাট্য লিখেছেন- আলোর পথে, সংলাপ লিখেছেন- নকল মানুষ, পিঞ্জর ও শ্রীমতি ৪২০ চলচ্চিত্রের।
তাঁর লেখা প্রকাশিত গ্রন্থসমুহের মধ্যে রয়েছে- প্রেম তুই সর্বনাশী, চাবিটা দাও, পতিতা প্রিয়তমা, নদী আমার, কীর্ত্তনখোলা, ভ্রমর প্রভৃতি।
মাহফুজ সিদ্দিকী বাচসাস-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ডিইউজে, বিএফইউজে এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ীসদস্য ছিলেন।
সাংবাদিক সমাজে মাহফুজ সিদ্দিকী অত্যন্ত ভদ্র-ভালো মানুষ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন । সাংবাদিকতা জীবনে অত্যন্ত সৎ ও আদর্শবান ব্যক্তি হিসেবেও সকলের কাছে সমাদৃত ছিলেন। এই গুণি ও ভালো মানুষটি পরপারে ভালো থাকবেন, এই প্রার্থণা করি।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন