১৯৭৭ সালে পৃথিবীর ইতিহাসে আরো একটা নৃশংস আর ব্যাপক হত্যাকান্ড সংগঠিত হয় বাংলাদেশেই। সে সময় বিমানবাহিনীতে তথাকথিত বা রহস্যময় অভ্যুত্থানের নামে অসংখ্য সৈনিককে নির্বিচারে হত্যা করা হয়। একজন পিতা হারান তার প্রিয় সন্তান।
অসহায় মা দেখতেও পায় না তার বুকের মাণিকের মৃতদেহ। স্ত্রী হারায় প্রিয়তম সঙ্গী। আর সে সময়ের শিশু কিংবা অনাগত সন্তান আজও বয়ে বেড়াচ্ছে বুকের ভেতর জমা চিরস্থায়ী ক্ষত, যন্ত্রণা আর রাষ্ট্রদ্রোহীর সন্তানের তকমা। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তথাকথিত অভ্যুত্থান আর প্রহসনমূলক বিচারের নামে অগণিত নিরীহ সৈনিকদের হত্যা করে। নবগঠিত একটা বাহিনীকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। সেইসব লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের কাহিনী শুনলে শরীর মন আজও শিউরে ওঠে। সে সময়ের অনেক ঘটনা আজও অজানা। ‘নাটের গুরু’ নামে ধারাবাহিক তথ্যচিত্রে এসব লোমর্হষক হত্যাকান্ডের কাহিনী তুলে আনা হয়েছে।
১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর বাংলাদেশের নবীন বিমান বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর একাংশে তথাকথিত অভ্যুত্থানের নেপথ্যে আসলে কী ঘটেছিল? আর তার পরবর্তীতে ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত বিচার, গণহত্যা এবং উত্তর প্রজন্মের সংগ্রাম ও তাদের মানবাধিকার নিয়েই নির্মিত হয়েছে এই তথ্যচিত্র। আসলেই কি কোনো অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছিল?
নাকি অভ্যুত্থানের নামে সৈনিকদের নির্বিচারে হত্যার গুপ্ত ফাঁদ পাতা হয়েছিল? জানতে হলে ‘নাটের গুরু’ দেখুন বিটিভিতে প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে।