প্রখ্যাত অভিনেতা ও নির্মাতা আলমগীর জীবনের আরেকটি বসন্ত পার করেছেন। রোববার (৩ এপ্রিল) এই বরেণ্য চিত্রনায়কের জন্মদিন, একাত্তর পেরিয়ে তিনি পা দিয়েছেন বাহাত্তর বছরে।
১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন আলমগীর। তার আদি নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। ১৯৭৩ সালে অভিনয়ে এসে প্রায় চার দশকে ২৩০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন এবং ৭টি সিনেমা নির্মাণ করেছেন তিনি।
১৯৭৩ সালে আলমগীর কুমকুম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন আলমগীর। এরপর একে একে ‘দস্যুরাণী’, ‘লাভ ইন সিমলা’, ‘মনিহার’, ‘মনের মানুষ’, ‘আগুনের আলো’, ‘সাম্পানওয়ালা’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘বৌমা’, ‘ভাত দে’, ‘গরীবের বউ’, ‘পিতা -মাতা’, ‘জজ ব্যারিস্টার’, ‘স্ত্রীর মর্যাদা’সহ অসংখ্য আলোচিত ও সুপারহিট সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।
১৯৮৬ সালে কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য প্রথম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেব জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আলমগীর। এরপর ১৯৮৭ সালে ‘অপো’, ১৯৮৯ সালে ‘ক্ষতিপূরণ’, ১৯৯০ সালে ‘মরণের পরে’, ১৯৯১ সালে ‘পিতা মাতা সন্তান’, ১৯৯২ সালে ‘অন্ধ বিশ্বাস, ১৯৯৪ সালে ‘দেশ প্রেমিক’সহ মোট নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননাও পেয়েছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
তবে তাকে এখন আর আগের মতো অভিনয় কিংবা নির্মাণে নিয়মিত পাওয়া যায় না। কিন্তু চলচ্চিত্রের অস্থিরতা ও বর্তমান সঙ্কট সমাধানে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আলমগীর। তার নেতৃত্বই সংগঠনগুলো নানা সমস্যা সমাধানে এক হয়ে কাজ করছে।